প্রতিবেদক গাংনী: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মালশাদহ গ্রামে আদালতের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন একতলা বিল্ডিং ভেঙে জমির প্রকৃত মালিকের দখল বুঝিয়ে দিয়েছে।
জানা গেছে, মালশাদহ গ্রামের মৃত আজিমউদ্দিনের ছেলে আজিজুল হক দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক একটি জমি দখল করে সেখানে একতলা বিল্ডিং নির্মাণ করে রেখেছিলেন। ওই জমির প্রকৃত মালিক একই গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে গোলাম কাউছার এ ঘটনায় মেহেরপুর সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা (নং-৬৮/১৯৯৭) দায়ের করেন।
আদালত রায়ে বাদীর পক্ষে সিদ্ধান্ত দেন। পরবর্তীতে বিবাদীরা মেহেরপুর জেলা জজ আদালতে আপিল (নং-১১২/২০০০) করেন, তবে সেখানেও আগের রায় বহাল থাকে। পরে বিবাদীপক্ষ হাইকোর্ট বিভাগে আপিল (নং-৩৩৬২/২০০১) করে, দীর্ঘদিন মামলা চলার পর হাইকোর্টও বাদীর পক্ষে রায় দেন।
এরপর তারা সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে আপিল (নং-৩৩০৭/২০১৬) করে, কিন্তু সেখানেও প্রকৃত মালিক গোলাম কাউছারের পক্ষে চূড়ান্ত রায় দেন আদালত এবং জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
সর্বশেষ দেওয়ানি মামলা (নং-২৯/২০০৯) এর আদেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে গাংনী উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে জমির পাশে লাল পতাকা উত্তোলন করে প্রকৃত মালিক গোলাম কাউছারকে দখল বুঝিয়ে দেয়।
গোলাম কাউছার বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর মামলা চলার পর আজ আমার নিজের জমি ফিরে পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”
তিনি আরও জানান, আদালতের নির্দেশে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন গাংনী থানা পুলিশের সহযোগিতায় জমি বুঝিয়ে দিয়েছেন।
জমিতে থাকা একতলা বিল্ডিংটি এক্সকাভেটার মেশিন দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে শত শত গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, “আদালতের নির্দেশ মোতাবেক জমির প্রকৃত মালিককে দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Discussion about this post