গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামদার আঘাতে সাহারুল ইসলাম (২০), ফিরোজ আলী (১৬) ও সাহাজুল ইসলাম (৩২) নামের ৩ জনকে আহত করা হয়েছে।
আহত সাহারুল মাইলমারী সর্দারপাড়ার রিয়াজুল ইসলামের ছেলে, ফিরোজ মহাজিতের ছেলে এবং সাহাজুল মৃত ফজল শেখের ছেলে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর), সন্ধার দিকে গাংনী উপজেলার মাইলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, মাইলমারী গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে লক্ষীনারায়ণপুরে বসবাসরত তমাল হোসেনের সাথে রং মিস্ত্রির কাজে যায় সাহারুল। মজুরি বাবদ তমালের কাছ থেকে ৫’শ টাকা পাওনা থাকলেও সাহারুলকে দেওয়া হয় ৩’শ ৫০ টাকা।
এ নিয়ে তমাল, তমালের ছেলে লালন ও সাহারুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাহারুলকে মারধর করে তমাল ও লালন। পরে স্থানীয় লোকজন ও সাহারুলের পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে বিষয়টি মিমাংসার পথে গেলে হঠাৎ মাইলমারী গ্রামের বিএনপি সমর্থিত সাবেক ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান বাচ্চুর ছেলে রনিসহ ৪/৫ জনের দল রামদা, ইট ও বাটাম নিয়ে ছুটে আসে এবং সাহারুল, ফিরোজ ও সাহাজুলকে মারধর করে আহত করে।
সাহারুল জানায়, ঘটনা মিমাংসা হয়ে গেলেও তমালের পক্ষ নিয়ে রনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রামদার উল্টো পিঠ দিয়ে আঘাত করে আমাদের ৩ জনকে আহত করে। তিনি জানান, প্রথমে স্থানীয়দের প্রচেষ্টাই মিমাংসা হলেও পরে রনি রামদা নিয়ে আসলে স্থানীয় জনতা রামদার ভয়ে সকলেই পালিয়ে গেলে আমাদের আঘাত করে। প্রশাসনের নিকট তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
সাহাজুল জানায়, আমি সাইকেল মেকানিক। বাজারে ব্যবসা করতে হবে আমাকে। যদিও অন্যায় ভাবে আমাকে মারা হয়েছে কিন্তু এর সুষ্ঠু বিচার চাইলে বাজারে আর আমাকে ব্যবসা করতে দেবেনা। সুতরাং এ বিষয়ে তিনি মুখ খুলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
ফিরোজ বলেন, সাহারুলকে মারধরের কথা শুনে মাইলমারী বাজারে গেলে বাটাম দিয়ে আমাকেও মারধর করা হয়। অন্যায় ভাবে তারা মেরেছেন। এর একটা সুষ্ঠু বিচার দাবি চেয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
অন্যায় ভাবে রামদা দিয়ে কেন আহত করা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে রনির মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন কল অন্য জন রিসিভ করে। তমালের সাথেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ক্ষমতার জোর দেখিয়ে ৩ জনকে মেরে আহত করায় স্থানীয়রা নিন্দা জানিয়েছেন। তবে রনি উশৃংখল ও বেপরোয়া হওয়ায় কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে অধিকাংশ লোকজন এর একটা সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
ঘটনায় সাহারুলের বাবা রিয়াজুলের সাথে কথা হলে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানান। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এর সুষ্ঠু বিচার না পেলে আইনের আশ্রয়ে যাবেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। আহত ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। রাত হয়ে যাওয়ায় রোববার প্রয়োজনে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শরণাপন্ন হবেন বলে জানা যায়।
এহ/16/11/24/ দেশ তথ্য
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post