গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসমাতারা’র বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তার প্রতি অনাস্থা জানিয়ে অপসারন দাবি করেছে ইউপি সদস্যরা।
একই সাথে প্যানেল চেয়ারম্যান (২) ও সাহারবাটি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক মহিবুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়ার লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
গত সোমবার ১৩ জানুয়ারী বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য স্বাক্ষরিত একটি অনাস্থা পত্র ও মহিবুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জমা দিয়েছে।
লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে,প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা তারা সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে এবং নিয়মবর্হিভূতভাবে ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় কার্যাবলি পরিচালনা করছে।
কোন সদস্যদের সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে টিসিবি’র পণ্য বিতরণ, সার, বীজ এলাকার জনগণের মাঝে সঠিকভাবে না দিয়ে নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে এসব কারনে তার প্রতি অনাস্থা ও প্যানেল চেয়ারম্যান (২) ও সাহারবাটি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক মহিবুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
প্যানেল চেয়ারম্যান (২) ও সাহারবাটি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক মহিবুল ইসলাম বলেন,পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারনে আসমা তারাকে প্যানেল চেয়ারম্যান করে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে স্বজনপ্রীতি ও সেচ্ছাচারিতা শুরু করেছে। সরকারী সুবিধা তার পছন্দের মানুষজনকে দেয়া অন্য ইউপি সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ক্ষমতার অপব্যবহার করে একক সিদ্ধান্তে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে একারনে ইউপি সদস্যরা তাকে অপসারণের জন্য ইউএনও’র কাছে আবেদন করেছে।
৮ নং ইউপি সদস্য আনোরুল ইসলাম বলেন,অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে সদস্যদের মাঝে বিরোধ বাধিয়ে দেয়। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে কম্বল বিতরণসহ বিভিন্ন কাজে নানা অভিযোগ রয়েছে।
ছুটিতে থাকা সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন,সকলে মিলেমিশে কাজ করলে সমস্যা হয় না তবে কিছু কাজের কারনে প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা তারার প্রতি অন্য ইউপি সদস্যরা ক্ষুদ্ধ হয়েছে একারনে তাকে অপসারণ ও অনাস্থা জানিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান ২ মহিবুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য ইউপি সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছে।
এবিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা তারা বলেন, অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই এছাড়া ভুয়া স্বাক্ষর করা হয়েছে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন লিখিত আবেদন পেয়েছি। সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Discussion about this post