গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে ব্যবসার টাকা বুঝে নিতে এসে মারধরের শিকার হলেন ঢাকার মুসফিকুর করিম।
এছাড়াও মুসফিকুরের ৭০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে জেলার গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের আজান গ্রামের আসমত আলীর ছেলে সেলিম রেজা, সেলিমের পিতা আসমত আলী ও সেলিমের বন্ধু একই গ্রামের রাজিব হোসেনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঢাকার হাজারীবাগের এনামুল করিমের ছেলে মুসফিকুর করিম গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মুসফিকুর তার বন্ধু সেলিম, সেলিমের পিতা আসমত ও সেলিমের গ্রামের বন্ধু রাজিবের সাথে গরুর ফার্ম করার জন্য ব্যবসায়ী পার্টনার হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হয়। এরপর সেলিমদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঙ্কের টাকা প্রদান করে। যার ব্যাংক স্টেটমেন্ট রয়েছে।
ভুক্তভোগী বিবাদীদের সর্বমোট ৭০,০০,০০০/- (সত্তর লক্ষ) টাকা প্রদান করে।
গত ১২/১০/২০২৪ তারিখে বিবাদীরা ভুক্তভোগীকে জানায় যে, তার মুলধণসহ লভ্যাংশ মিলে সর্বমোট ১,২৫,০০,০০০/- (এক কোটি পঁচিশ লক্ষ) টাকা প্রাপ্ত হয়েছে।
পরবর্তীতে গত ২৮/১২/২০২৪ তারিখ বিকাল ৪ টার দিকে ভুক্তভোগী মুসফিকুর তার ভাই ও তার ব্যবসায়ী পার্টনাররা মিলে ঢাকা থেকে সেলিমদের বাড়ীতে এসে ব্যবসার হিসাব বুঝে নিতে চাইলে সেলিমরা তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম ও রড দিয়ে সবাইকে বেধড়ক মারধর করে।
এছাড়া মারধরের একপর্যায়ে সেলিম ভুক্তভোগী মুসফিকুরকে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। পরে চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে এসে তাদেরকে রক্ষা করে। এরপর ভুক্তভোগীরা মেহেরপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্পে গিয়ে ঘটনাটি জানালে সেনাবাহিনী অফিসার বিবাদীদেরকে ডেকে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরবর্তীতে বিবাদীরা জানায় ভুক্তভোগীর পাওনা টাকা ২৯/১২/২০২৪ তারিখ বিকাল ৪ টার দিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতে পরিশোধ করবে। কিন্তু ভুক্তভোগীরা ধারনা করছে বিবাদীদের বাড়ীতে পুনরায় গেলে বিবাদীরা তাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাই ভুক্তভোগী মুসফিকুর তার প্রাপ্ত টাকা আদায়ে প্রশাসনের সহযোগিতা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এবিষয়ে বিবাদীদের সাথে কথা হলে তারা ব্যাংকের মাধ্যমে মুসফিকুরের টাকা পরিশোধ করেছেন বলে জানালেও ভুক্তভোগী মসফিকুর জানান তিনি এখনো তার প্রাপ্ত টাকা বুঝে পাননি।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,এই গাফফার হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।

Discussion about this post