গাংনী, মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের ঢেপা-পাঙ্গাশী গ্রামে জমির কলমি শাকের বীজ মাড়াই করার শ্রমিক খরচ নিয়ে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ঢেপা-পাঙ্গাশী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলো, মালিক পক্ষের জেলেহার মণ্ডলের ছেলে মজিবর (৫০), দেলোয়ার মণ্ডলের ছেলে জিবার মন্ডল (৫৫), নুর ইসলামের ছেলে আশাদুল (৪৮), আশাদুলের ছেলে নয়ন (২০), জেলেহার মণ্ডলের ছেলে নুর ইসলাম (৬০), মজিবরের ছেলে আল আমিন (২৫) ও বায়জিদ আলীর ছেলে ফরজ আলী (৩৫)।
শ্রমিক পক্ষের আহতরা হলো, রেজাউল ইসলামের ছেলে হযরত আলী (৬০), উসমানের ছেলে স্বপন (২৫), রেজাউলের ছেলে উসমান (৫০) ও হুমায়ুন (৪০), মৃত খোকাই শেখের ছেলে রেজাউল (৮০), রেজাউল হকের স্ত্রী হালিমা খাতুন (৭৫)।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার মজিবরের ১৩ কাঠা জমির কলমি শাকের বীজ মাড়ানোর জন্য চুক্তি নেয় রেজাউল হকরা। বিঘাপ্রতি জমিতে আড়াই হাজার টাকার চুক্তি হয়। শ্রমিকের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে মজিবর অভিযোগ করেন, মাড়াই খরচ বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আজ সকালে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে উভয়পক্ষ চা পান করছিল। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে আবারও বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। এতে দু’পক্ষের ১৩জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও গাংনী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য,৩১ জানুয়ারি ২০২৪
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post