মাহাবুল ইসলাম, গাংনী: মেহেরপুরের গাংনীতে তিন ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান শুরু হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানের প্রথম দিনে গাংনী উপজেলার তিনটি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এসময় বিপুল পরিমাণ কাঁচা ইট পানি দিয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসএইচবিসি ইটভাটার মালিক ইকরামুল হককে ২ লাখ টাকা, ফোর স্টার ব্রিকসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করার অপরাধে ইট শ্রমিক ইকলাছুর রহমানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও বলাকা ব্রিকসের মালিক মিলন হোসেনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে একলাছুর রহমান জরিমানা দিয়ে মুক্ত হন।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয় গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়।
এসময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্য দিয়ে পানি ছিটিয়ে ফোর স্টার ব্রিকসের কাঁচা ইট ধ্বংস ও এক্সকাভেটর দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে হিজলবাড়িয়ার বলাকা ব্রিকস।
ভাটাগুলো অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। একই সঙ্গে তিনটি ইটভাটায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রত্যেক ইটভাটায় কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ একর তিন ফসলি জমি ব্যবহার করা হয়েছে। এসময় বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতাও ভিড় জমান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন। উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোজফ্ফর খান।
ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগীতা করেন, গাংনী থানা পুলিশ ও বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ সনের ৫৯ নং আইনে তিনটি ইটভাটাতে অভিযান চালিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় দুটি ইটভাটাতে পানি দিয়ে কাঁচা ইট বিনষ্ট ও এক্সকাভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ দূষণ রোধে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল অবৈধ ইটভাটাতে অভিযান চালানো হবে।
উল্লেখ্য, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই জেলার তিনটি উপজেলায় প্রায় ১০৮ টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে বলে জানান জেলা প্রশাসন।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post