মেহেরপুর প্রতিনিধি: ভুয়া প্রকল্পের নামে সরকারী প্রায় ১১ লাখ টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক এবং গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার স্বাক্ষরে মাসিক সমন্বয় সভায়, রাজস্ব
থেকে বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্পে এই অর্থ উত্তোলন করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়,সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা,মহিলা অধিদপ্তরের মেরামত ও রং করণের নামে ১ লাখ ২৫ হাজার
টাকা,উপজেলা মডেল মসজিদের প্রাচীর মেরামতে ২ লাখ টাকা, নতুন কমপ্লেক্স ভবনের পেছনে প্রাচীর মেরামতে ২ লাখ টাকা, উপজেলা চত্বরে ঝোপঝাড় পরিষ্কারদেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা, পানির পাম্প মেরামতে ৫০ হাজার টাকা, অসহায়দের
সহায়তার জন্য ৯৫ হাজার টাকা এবং পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের ভাতা ও ভ্রমণ বাবদ ১ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা উত্তোলন করাকরে।
সরে জমিনে গিয়ে এসব প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দা আজমত আলী জানান, নতুন কমপ্লেক্স ভবনের পেছনে কোনো প্রাচীর মেরামত বা রং করনের কাজ হয়নি। এমনকি রাজমিস্ত্রিদেরও দেখা যায়নি।
বামন্দী বাজার কমিটির সভাপতি আশরাফুল হক বাবু বলেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাজারের আশেপাশে সরকারিভাবে কোনো সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়নি।”গাংনী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন জানান, মহিলা অধিদপ্তরের রং করণের বরাদ্দ থাকলেও এখনো কাজ হয়নি। তার বক্তব্য অনুযায়ী, উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী সঞ্চিতা খাতুন বিল ভাউচারে স্বাক্ষর করে অর্থ উত্তোলন করেছেন।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত
মেহেনাজকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার বলেছেন, যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আলোচনা ও প্রশাসনের স্বচ্ছতার প্রশ্ন উঠেছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য //জানুয়ারী ২৯,২০২৫//

Discussion about this post