ইরফান উল্লাহ, ইবি সংবাদদাতা :
গাজায় ইজরায়েলী গণহত্যা ও ভারতে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সভায় মিলিত হয়। এছাড়াও শেখপাড়া বাজার জামে মসজিদ থেকে প্রতিবাদী একটি দল সেখানে এসে জমায়েত হয়।
মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াসিরুল কবির, গোলাম রব্বানী, ইসমাইল হোসেন রাহাত, ছাত্রশিবির ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইউসুব আলীসহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘বিশ্বের মুসলিম, এক হও লড়াই করো’, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘ফিলিস্তিন দিচ্ছে ডাক, আরবরা জাগরে জাগ’, ‘দালালি না আজাদি, আজাদি আজাদি, ‘গাযাবাসীর কারণে, ভয় করি না মরণে’, ‘গোলামি না শাহাদত, শাহাদত শাহাদত’, ‘বদরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, প্রভৃতি স্লোগান দেন।
ছাত্রশিবির ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইউসুব আলী বলেন, ফিলিস্তিনে হামলার পর ফ্যাসিস্ট নেতানিয়াহু বলেছে এই হামলা কেবল শুরু। আমরা বলে দিতে চাই, এটা তাদের পতনের শুরু। দীর্ঘদিন ধরে তারা ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সম্মুখ যুদ্ধে একজন যোদ্ধাকেও হত্যা করতে পারবে না তাই পেছন থেকে হামলা চালিয়ে নারী-শিশুদের হত্যা করছে। তাদের চেয়েও ফেরাউনের সাম্রাজ্য, নমরুদের সম্প্রদায় অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। তারা এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারেনি। আমরা বিশ্বমুসলিম এক হয়ে হুংকার দিলে তারা এক মুহূর্তও টিকে থাকতে পারবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘ সহ কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা সমাধানের উদ্দেশ্যে কোনো সহায়তা করছে না। তেমনি বাংলাদেশেও একজন নেতানিয়াহুর জন্ম হয়েছিল। যারা বিগত ১৬ বছরে শাপলা চত্বরে গণহত্যা থেকে শুরু করে সারাদেশে খুন, গুম, ধর্ষণ, লুটতরাজসহ সব অপকর্ম করেছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে। এই ইসলায়েল ও আওয়ামীলীগকে সমর্থন দিচ্ছে ভারত। তাই ভারতের বিরুদ্ধে সবসময় আমাদের শক্ত অবস্থান থাকবে।