আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক:
ইসরাইল – হামাস সংঘাতের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ৬ মাস অতিক্রম করে সপ্তম মাসে পড়েছে। এই যুদ্ধে সবচেয়ে প্রাণ হারিয়েছে নারী ও শিশু। ইসরাইল বলেছিলো এক সপ্তাহে যুদ্ধের বিজয় ছিনিয়ে আনবে।তবে যুদ্ধে এখনও ইসরায়েল উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়নি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।এদিকে ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে গাজার খাঁন ইউনিস এবং এর আশেপাশের এলাকায় হামাস যোদ্ধারা চোখে চোখ রেখে বুক টান করে তুমুল লড়াই চালাচ্ছে। সূত্র: আল-জাজিরা
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি কয়েক ঘণ্টার যুদ্ধে ইসরায়েলের ১৪ সেনাকে হত্যার ও ৬ টি মারকাভা ট্রাংক ধ্বংস করেছে।খান ইউনুস শহরটি গত ডিসেম্বর থেকে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের মঞ্চ ছিল। ইসরায়েলি বাহিনী শহরটিতে তার সম্পূর্ণ সামরিক নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা করে আসছে।হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড দাবি করেছে, পূর্বাঞ্চলীয় খান ইউনিসের আজ-জানানা জেলায় নয়জন ইসরায়েলি সৈন্য এবং আমাল এলাকায় আরও পাঁচজন দখলদার সেনা নিহত হয়েছে।হামলায় আহত সেনাদের সরিয়ে নিতে তিনটি ইসরায়েলি হেলিকপ্টার অবতরণ করে।ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনারা বর্তমানে ‘খুব কাছ থেকে নৃশংস ও ভয়াবহ লড়াইয়ে’ লিপ্ত রয়েছে।
এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা করতে মিসর যাচ্ছেন হামাসের প্রতিনিধি দল। নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলায় গেল ৬ মাসে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ হাজার ১৩৭ ফিলিস্তিনি। পশ্চিম তীরে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৪শ’র বেশি।
অন্যদিকে, জিম্মিদের মুক্তি এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভে অংশ নেন ১ লাখের বেশি মানুষ।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post