দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে গাজীপুর-১ আসনের পাঁচ দলের পাঁচ প্রার্থী।
নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ অপেক্ষা কম ভোট পাওয়ায় তাদের জামানতের টাকা সরকারের অনুকলে বাজেয়াপ্ত হবে। এ নিয়েও চলছে এ নির্বাচনী এলাকায় নানা আলোচনা-সমালোচনা।
জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মনোনিত ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, তৃণমুল বিএনপির মনোনিত ও সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী চৌধুরী ইরাদ আহমদ সিাদ্দকী, ইসলামী ঐক্যজোট মনোনিত ও মিনার প্রতীকের প্রার্থী ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মনোনিত ও নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী আর্শেদুজ্জামান এবং বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনিত ও ফুলের মালা প্রতীকের প্রার্থী সফিকুল ইসলাম।
এলাকাবাসী ও নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর-১ আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগসহ ছয় দলের সাতজন সংসদ সদস্য প্রার্থী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। এরা হলেন- আওয়ামীলীগের মনোনিত ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আলহাজ্ব এ্যাড. আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল, জাতীয় পার্টির মনোনিত ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, তৃণমুল বিএনপির মনোনিত ও সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী চৌধুরী ইরাদ আহমদ সিাদ্দকী, ইসলামী ঐক্যজোট মনোনিত ও মিনার প্রতীকের প্রার্থী ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মনোনিত ও নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী আর্শেদুজ্জামান এবং বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনিত ও ফুলের মালা প্রতীকের প্রার্থী সফিকুল ইসলাম।
রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেসকারি ফলাফল ষোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। এ আসনে সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ২ লক্ষ ৮ হাজার ৭৬২টি, বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৩ হাজার ১৭৫টি এবং মোট বৈধ ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৫ হাজার ৫৮৭ জন। বেসরকারি ফলাফল অনুসারে ১ লক্ষ ৯ হাজার ২১৮ পেয়ে নির্বাচিত হন নৌকার প্রার্থী মোজাম্মেল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের রাসেল পান ৯২ হাজার ৭৮৮ ভোট।
এছাড়াও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১ হাজার ২৭৬, সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী চৌধুরী ইরাদ আহমদ সিাদ্দকী ৩২২, মিনার প্রতীকের প্রার্থী ফজলুর রহমান ১ হাজার ৪৯৩, নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী আর্শেদুজ্জামান ২০২ এবং ফুলের মালা প্রতীকের প্রার্থী সফিকুল ইসলাম ২৮৮ ভোট পান।
কিন্তু নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ অপেক্ষা কম ভোট পেলে প্রার্থীর জামানতের টাকা সরকারের অনুকলে বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। সেই হিসেবে পাঁচ দলের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী চৌধুরী ইরাদ আহমদ সিাদ্দকী, মিনার প্রতীকের প্রার্থী ফজলুর রহমান, নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী আর্শেদুজ্জামান এবং ফুলের মালা প্রতীকের প্রার্থী সফিকুল ইসলাম পেয়েছেন নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ অপেক্ষা কম ভোট। ফলে এবার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ওই পাঁচ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। এ নিয়েও চলছে এ নির্বাচনী এলাকায় নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে এ বিষয়ে ওই প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
ওই আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী জানান, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সুষ্ঠ, সুন্দর নিরপেক্ষ, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পূর্ণ করা হয়েছে। তবে নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ অপেক্ষা কম ভোট পেলে ওই প্রার্থীদের জামানতের টাকা সরকারের অনুক‚লে বাজেয়াপ্ত হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post