গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্স মাদকসহ আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এসময় চালক ও যাত্রীকে গ্রেপ্তার করে মাদক মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও কালিয়াকৈর পৌর মেয়রের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন একটি কুচক্র মহল। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী, পৌরবাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে এ ঘটনার পর গত সোমবার পৌর এ্যাম্বুলেন্স চালক ছানোয়ার হোসেনকে অব্যাহতি দিয়েছে কালিয়াকৈর পৌরসভা। এ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী বহনের অভিযোগে এর আগেও পৌর কর্তৃপক্ষ ওই চালককে শোকজ করেছিল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের সদর থানার দেড়গ্রাম এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে ছানোয়ার হোসেন (৩৫)। তিনি কালিয়াকৈর পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্স চালক ছিলেন। অপর গ্রেপ্তার হলেন, পাবনার সাথিয়া থানার আত্রাইশুখা (গোপালপুর) এলাকার ওয়াজেদ আলী ওরফে ওজেদ আলীর ছেলে রাকিব শেখ (২১)।
পৌরবাসী ও পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ছানোয়ার হোসেন প্রায় দুই বছর ধরে কালিয়াকৈর পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় গত রোববার ওই চালক পৌর অ্যাম্বুলেন্স যোগে পৌর ৭নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে একটি লাশ নিয়ে রংপুরের উদ্দেশ্যে যান। কিন্ত ওইদিন রাত ৩টার দিকে লাশ রেখে ফেরার পথে পৌর অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এসময় ওই এ্যাম্বুলেন্সটি তল্লাসী চালিয়ে ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে ওই এ্যাম্বুলেন্স চালক ছানোয়ার ও যাত্রী মাদক ব্যাবসায়ী রাকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় মোতাহার হোসেন নামে অপর এক মাদক ব্যবসায়ী কৌশলে পালিয়ে যায়।
পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে মাদকসহ পৌর এ্যাম্বুলেন্স জব্দ ও চালককে গ্রেপ্তারের ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্ব এ্যাড. আ. ক. ম মোজাম্মেল হক পৃষ্ঠপোষকতায় কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবুর রহমান মাদক ব্যবসায় জড়িত বলে মিথ্যা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন একটি কুচক্র মহল। এমন অপপ্রচারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী, পৌরবাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল আলম তালুকদার জানান, যাত্রী বহনের অভিযোগে প্রায় ৬ মাস আগেও ওই চালককে শোকজ করা হয়েছিল।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা পৌর এ্যাম্বুলেন্স চালকের বিষয়। এটা মন্ত্রী মহোদয়ের কোনো বিষয় নয়। তাঁর সম্মানহানী করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন একটি চক্র। তবে দলীয়ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান জানান, মানুষের সেবা করার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু রয়েছে। রোগী বা লাশ বহন শেষে চালক এ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী নিয়ে আসায় এ সমস্যা ঘটেছে। এখানে পৌরসভা কোনভাবে দায়ী নয়। কিন্তু একটি চক্র মন্ত্রী মহোদয় ও আমাকে হেয়ু করার লক্ষ্যে এটাকে ভিন্ন ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করছেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post