গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ মাদকের সাথে জড়িত ও আটক বাণিজ্যর অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানার ছয় পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
সোমবার জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ৫জন দারগা ও একজন কনেস্টবলকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হচ্ছে,থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আকরামুজ্জামান, উপ-পরিদর্শক(এসআই)সত্যব্রত,সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই)আব্দুল করিম. সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই)মঞ্জুরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই)রঞ্জু,ও কনেস্টবল মাহবুব।পুলিশের একটি সূত্র জানায়,রোববার বিকালে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান(পিপিএম)গোদাগাড়ী মডেল থানা পরিদর্শনে এসে ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যদের অপরাধ সম্পর্কে অবহিত হন। এরপর ফিরে গিয়ে ৬জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
গোদাগাড়ী মডেল অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আব্দুল মতিন বলেন, ৬জন পুলিশ সদস্যকে রাতেই থানা ত্যাগ করেন। প্রত্যাহার হওয়া ৬জন পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসায়ীদের মাসোয়াহারা নিয়ে সহযোগিতা আটক করে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগ আছে পুলিশ সুপারের কাছে বলে পুলিশ একটি সূত্র জানায়।
রোববার সকালে দিকে চাপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কোদালকাটি গ্রামের বাদেফুল ইমলামের ছেলে আব্দুস সামাদ নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে ৩ লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয় এসআই আকরামুজ্জামান। আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। এর আগে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর ছেলেকে আটক করার অভিযোগে রোববার গোদাগাড়ী মডেল থানার প্রেমতলী তদন্ত কেন্দ্রর ৪জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে করা হয়।
প্রত্যাহার হওয়া চার সদস্যরা হলেন,প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আনোয়ারুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. রেজাউল করিম ও মিলন হোসেন।