Print Date & Time : 23 August 2025 Saturday 1:57 pm

ঘনঘন লোডশেডিং: উত্তরাঞ্চলে জনদুর্ভোগ চরমে

শেখ সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট থেকে: ঘনঘন লোডশেডিংয়ে চরমদূভোর্গে পড়েছে লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।

সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ফ্যান ছেড়ে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। গভীর রাতেও এখন বিদ্যুতের লোডশেডিং চলে। লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামেগঞ্জ গড়ে ওঠা ছোটছোট শিল্পকলকারখানায় উৎপাদন ব্যহ্নত হচ্ছে। বাসা বাড়ির দামী দামী বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশন নষ্ট হয়ে ক্ষতিরমুখে পড়েছে। এই বিদ্যুত বিভ্রাটে সরকারের জনপ্রিয়তাও তলানিতে নেমে যাচ্ছে।
বিএনপি— জামাত জোট সরকার বিদ্যুত বিভ্রাটের কারনে জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলে ছিল। বর্তমান সরকার ১৫ বছর আগে ক্ষমতায় এসে দ্রুত বিদ্যুত সমস্যার সমাধানে নানা উদ্যোগ নেয়। তারা কুইকরেন্ট্রাল বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করে বিদ্যুত উৎপাদন করে জনগণের চাহিদা মিটায়। দেশে অগ্রাধিকারভিত্তিক খাত বৈদ্যুতিকখাত। সরকার গত দেড় দশকে বিদ্যুৎ খাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। বিদ্যুত বিতরণে এনেছে পরিবর্তন। যার কারণে উৎপাদন সক্ষমতা তিন—চারগুণ বাড়ছে। দুই বছর আগেও বিদ্যুতের লোডশেডিং সহনীয় পযার্য়ে ছিল।

জনমনে প্রশ্ন উঠেছে এখন কেন বিদ্যুত ভোক্তা পযার্য়ে পাওয়া যাচ্ছেনা। জনতা আগের চেয়ে বেশীদামে বিদ্যুত কিনে ব্যবহার করছে। ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি বছর বিদ্যুতের মূল্য ইউনিট প্রতি বেড়ে চলছে। গ্রাহক বাড়তি খরচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চায় কিন্তু পাচ্ছেনা। চলছে দেশে অসহনীয় তাপদাহ। বিদ্যুত এই আসে এই যায়। এতে করে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ কারণে স্কুল—কলেজে শিক্ষার্থী কমেছে।

রংপুর বিভাগের আট জেলায় একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শহর গ্রাম সব জনপদে ক্রমবর্ধমান লোডশেডিংয়ের কারণে স্কুল—কলেজের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। কৃষি উৎপাদনে এখন বহুলাংশে বিদ্যুত নির্ভর। সেই কৃষিকাজ ব্যহ্নত হচ্ছে। যাহা গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ক্রমবর্ধমান লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামগঞ্জে গড়ে ওঠা শিল্পোৎপাদনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

এই মুহূর্তে দেশে ২৭ হাজার ৫১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু বিদ্যুত বিতরণ কেন্দ্রগুলো থেকে চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াট। উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুত উৎপাদন দেশে ডলার সংকট তথা অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে জন মনে বিভ্রান্ত তৈরি হচ্ছে। যাহা রাজনৈতিক ভাবে সরকারকে জনগণ হতে দুরত্ব সৃষ্টি করছে।

গৃহবধু রেবেকা সুলতানা কাকলি (৩৫) জানান, বিদ্যুতের অনির্ধারিত লোডশেডিং ও ভোল্টেজের ওঠানামার কারনে টিভি, ফ্রিজ, এসি, লাইন, ফ্যান সহ বৈদ্যুতিক গৃহ সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছে গ্রামের সাধারণ মানুষ। এটা ব্যক্তি পাশাপাশি দেশের ক্ষতি। একটি দেশের উন্নয়নে ব্যক্তি ও পরিবার কে সূচকে একক ধরা হয়। এদিকে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর চরে ৫০ মেঃওয়ার্ডের একটি সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র গত দুই বছর আগে উৎপাদনে গেছে। তারা জাতীয় গ্রীডে প্রায় ৩২ মেঃওয়ার্ড সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সরবরাহ করে থাকে। লালমনিরহাটে বিদ্যুত চাহিদা পিক আওয়ারে ১৩ মেঃওয়ার্ড, অফ পিক আওয়ারে ৭—৮ মেঃওঃ। এতে করে দিনের বেলায় লোডশেডিং হওয়ার কথা নয় কিন্তু দিনের বেলাও লোডশেডিং হচ্ছে। লালমনিরহাটে দিনরাত মিলে ২৫—৩০ বার বিদ্যুত যায়। কখনো কখনো ১০—১৫ মিনিট পর আসে আবার কখনো এক ঘন্টা — দেড ঘন্টা পর বিদ্যুত আসে। লালমনিরহাটে বিদ্যুত সরবরাহ ও বিতরণের দায়িত্ব নেসকোর। লালমনিরহাট নেসকোর নিবার্হী প্রকৌশলী পলাশ চৌধুরী রায় জানান, চাহিদার থেকে সরবরাওহ কম পাওয়ায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। লালমনিরহাটে পিক আওয়ারে চাহিদা ১৩ মেঃওঃ অফ পিক

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//