মোহাম্মদ সোহেল, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল):
ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে স্ত্রী। প্রতিস্থাপনের জন্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কর্তনকৃত বিচ্ছিন্ন অংশ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) স্বামী ফিরোজের লিঙ্গ কর্তনকারী স্ত্রী জাকিয়াকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। গত বুধবার ১৭ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানায় জাকিয়ার শাশুড়ী বাদী হয়ে মামলা করে।
১৭ এপ্রিল সকাল ৯টার সময় ঘুমিয়ে থাকা স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন স্ত্রী জাকিয়া।
স্থানীয়রা ফিরোজকে প্রথমে ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যেই ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ এর নির্দেশ মোতাবেক এসআই মোঃ জুম্মন ও এ,এস আই মঞ্জুরুল এর নেতৃত্বে স্ত্রী জাকীয়াকে পুলিশি হেফাজতে আনা হয়।
এরপর ফিরোজের বিচ্ছিন্ন লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য স্ত্রী জাঁকিয়াকে নিয়ে উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। ব্যাপক তল্লাশির পরও পাওয়া যায়নি ফিরোজের দেহ থেকে বিচ্ছিন্য অংশ। অন্যদিকে ফিরোজ ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
যানাযায়, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ি গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে ফিরোজ মিয়া (৩০) সাথে গত সাত আট বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয় একই উপজেলার জিগাতলা গ্রামের জামিল সেখের মেয়ে জাকিয়ার। কিছু দিন যেতে না যেতেই পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এর মধ্যেই তাদের ঘরে আসে একটি ছেলে সন্তান।
ছয় মাস পূর্বে আদালতের মাধ্যমে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। গেলো রমজানের মাঝে তাদেরকে পুনরায় বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল হোসেন চকদার।
এ ঘটনার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার এসআই জুম্মন জানান নিয়মিত মামলা নিয়ে জাকিয়াকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//১৮ এপ্রিল ২০২৪//