আগামীকাল ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী বিভিন্ন সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। নির্বাচনকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেনা-বিজিবি-পুলিশ-আনসার স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত। যদিও চট্টগ্রাম ১৩ আসনে এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ভোটারেরা কেন্দ্রে গেলে নৌকার প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিপুল ভোটে আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। এ আসনে শুধুমাত্র বিজয়ের ক্ষণগণণা হচ্ছে। সাইফুজ্জামান চৌধুরী তিনবারের সংসদ সদস্য। চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তিনি বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। ছিলেন প্রতিমন্ত্রীও। পেশা তাঁর দেশে বিদেশে ব্যবসা।
চট্টগ্রাম ১৩ আসনের (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে ৩০ জন ভোটারের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। ভোটাররা বলছেন, এই আসনে নৌকার সঙ্গে কারও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। ভোটে বিএনপি নেই, লাঙ্গলের প্রচারণাও সীমিত। অপর কয়েকজন প্রার্থী হয়েছেন ঠিকই, তবে নৌকার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না তাঁরা। তবে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবেন কি না, এই আশঙ্কা তাঁদের।
শিকলবাহা সিডিএর টেক এলাকায় আলাপচারিতায় আব্দুল করিম বলেন, ‘ভোটে নৌকা জিতে যাবে কাল, এটাই নিশ্চিত অনেকটা। এখন নেতা-কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে, সভা-সমাবেশ করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার চেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছেন। কারণ ভোটার উপস্থিতি কম হবার সম্ভাবনা। সাধারণ ভোটারদের কেন জানি আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে।’
এদিকে, বিএনপিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী না থাকায় অনেকটা নিরুত্তাপ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এবারের ভোট। এছাড়াও নানা কারণে ভোটারের উপস্থিতিও কম থাকবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোটার উপস্থিতি করাতে মরিয়া। ইতিমধ্যে দলটির নেতারা কর্মীদের ডেকে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে নির্দেশনাও দিয়েছেন।
ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, আমরা যথেষ্ট প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি। ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটার আনতে চেষ্টা করবেন।
এ আসন থেকে সাইফুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা) ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন (চেয়ার) জাতীয় পার্টির আবদুর রব চৌধুরী (লাঙ্গল),তৃণমূল বিএনপির মকবুল আহমদ চৌধুরী সোনালী (আশঁ), বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের মো. আবুল হোসেন (মোমবাতি),বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক (তালগাছ) এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আরিফ মঈন উদ্দিন (একতারা)।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, কর্ণফুলীর ৪৬ টি কেন্দ্রে ২৬৮ টি ভোটকক্ষে মোট প্রিসাইডিং ও সহকারি প্রিসাইডিং অফিসারের সংখ্যা হলো ৯৪৬ জন, অতি ঝুঁকিপূর্ণ কোন কেন্দ্র নেই।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে দুটি উপজেলা। আনোয়ারা ও কর্ণফুলী। আনোয়ারায় ১১টি ইউনিয়ন ও কর্ণফুলীতে ৫ টি ইউনিয়ন। আনোয়ারায় ভোটকেন্দ্র ৭২ টি, কর্ণফুলীতে ৪৬টি মোট দুই উপজেলায় ১১৮টি।
আনোয়ারায় ভোটকক্ষ ৪৮৪টি, কর্ণফুলীতে ২৬৮টি মোট ৭৫২টি কক্ষ। আনোয়ারায় পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২২ হাজার ১১৭ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৮ হাজার ৪৯০ জন। কর্ণফুলীতে পুরুষ ভোটার ৬৭ হাজার ১২৬ জন ও মহিলা ভোটার ৫৯ হাজার ১৩১ জন। দুই উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৪ জন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জানুয়ারী ০৬,২০২৪//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post