এনামুল হক কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার মিরপুরে দেড় বছর পূর্বে জাসদ কর্মীর হামলায় আহত ছাত্রদল নেতার প্রতিশোধের হামলায় জমির উদ্দিন (৪৫) নামের ওই জাসদ কর্মীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
হামলাকারী উপজেলার আমলা ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি
অনিক (২২)সহ ৩জনকে হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের মিটন গ্রামের ঈদগাহ এর সামনে এই হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় নিহত জমির উদ্দিন স্থানীয় মিটন গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, দেড় বছর পূর্বে জাসদ-আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ফুটবল খেলার মাঠে সূত্রপাত হওয়া দ্বন্দের জেরে নিহত জাসদ নেতা জমির উদ্দিন ছাত্র দল নেতা অনিককে স্থানীয় একটি চা দোকানে প্রকাশ্যে মারধর করে হাত ভেঙ্গে দেয়াসহ গুরুতর আহত করেন। সেই
দ্বন্দের জেরে প্রতিশোধ নিতেই সদ্য গঠিত আমলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অনিক তার সংগীয়দের নিয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে প্রকাশ্যে হাতুরি ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রসহ জমির উদ্দিনের উপর হামলা করে বেদম হাতুরি পিটুনিসহ মারধর করে গুরুতর আহত করে। আক্রান্ত জমির উদ্দিন অচেতন হয়ে
পড়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন অচেতন জমির উদ্দিনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন ।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে আহত জমির উদ্দিনকে মৃত ঘোষনা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আমলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অনিক কি কারণে জমিরকে মেরেছে সেটা অনিকই ভালো বলতে পারবে। এর সাথে সাংগঠনিক কোন দোষারোপের কিছু থাকতে পারে না। এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়। এমুহুর্তে এরবেশি কিছু বলতে
পারছি না’।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আজিজ জানান, ‘উপজেলার মিটন গ্রমে হাতুরি পেটায় একজনের মৃত্যুর ঘটনায় বাড়িঘরে হামলা ভাংচুরের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। একই সাথে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে সংঘটিত হত্যাকান্ডে
জড়িত সন্দেহে অনিক(২২), নাইম খান(২৪) ও নাঈম আহমেদ(২৫) নামের ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ। সেখানে পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে। একই সাথে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে
পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় হাসপাতালের ছবি দেয়া আছে।

Discussion about this post