কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: ছোট্ট শিশু তাসনিয়া আক্তার জিম। বাবা মায়ের কোল জুড়ে আসা এই সন্তানকে নিয়ে এখন বিপাকে তারা। অথচ মাত্র দুই মাস বয়সেই করুন এক রোগে আক্রান্ত। প্রস্রাব ও মলদ্বারের লাইন এক হওয়ায় বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ হতে পারেনি শিশুটি।
পরিবারের এখন শুধু এক মাত্র চাওয়া সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক তাসনিয়া। জন্মের পর থেকেই অভাব আর অনটনের মধ্যে দিয়ে চিকিৎসা খরচ চালাতে হিমসিম পরিবারটি। মলদ্বারের অপারেশনের জন্য চান বিত্তবানদের আর্থিক সহায়তা। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নাতুড়িয়া কারিগর পাড়া এলাকার শরিফুল ইসলাম নাতনীর জন্য বিত্তবানদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন পরিবারটি।
সাত সদস্যের পরিবার ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো.শরিফুল ইসলামের। স্থী- সন্তান মা ও মেয়ে নাতনি নিয়ে বসবাস তার। দিনে ঝালমুড়ি বিক্রি করে যে টাকা রোজগার হয় তা সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয় পরিবারটির। নাতনীর চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে ধার দেনা করে প্রায় সবই শেষ পরিবারটির। ডাক্তার বলছেন মলদ্বারের চিকিৎসার জন্য তিনটি অপারেশনে খরচ প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। অপারেশন করলেই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে তাসনিয়া।
স্থানীয়দের কাছ থেকে ধার দেনা করে তাসনিয়ার চিকিৎসা খরচ চালাতেন নানা শরিফুল ইসলাম। মেয়ে জামাই দিন মজুরির কাজ করাই তেমন একটা খরচ দিতে না পারাই মেয়ে নাতনিই এখন শরিফুলের মাথার বোঝা হয়ে পড়েছে। প্রতিবন্ধী শরিফুলের অনন্য এক জীবন যাত্রা। এক পায়ের ওপরে ভর করে ভ্যান নিয়ে ঝাল মিড়ি বিক্রি করেই চলে সংখ্যার।
দুমাসের ফুটফুটে শিশু তাসনিয়ার জীবন বাঁচাতে আর্থিকভাবে বিত্তবানদের সহায়তা চাই পরিবারটি। তিনটি অপারেশন করলে সুস্থ জীবনে ফিরে আসবে শিশুটি।
ঝাল মুড়ি বিক্রেতা শরিফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের নম্বর :01778209992

Discussion about this post