দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমির দখল নিতে চাষীর দেড় বিঘা জমির ফসল নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাষী তজমিন হোসেনের অভিযোগ, বৈধ কাগজ না থাকলেও ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকিতে জোরপূর্বক এসব জমির দখল নিতে চাইছেন খলিসাকুন্ডি হাওড়াপাড়ার আব্দুস সাত্তার এর ছেলে আইনাল হক ও তার সহযোগীরা। তবে, ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে নিজেদেরকেই জমির প্রকৃত মালিক হিসেবে দাবি করেছেন অভিযুক্তরা।
চাষী তজমিন হোসেন জানান, ১৯৯৫ সালে পার্শ্ববর্তী রাজনগর গ্রামের মোসলেম হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেনের কাছে থেকে এই জমি কিনে চাষাবাদ করি। সর্বশেষ হালনাগাদ সনের খাজনাও দিয়েছি। এরপরেও, গত কয়েক মাস ধরে কেনা সম্পত্তি দাবি করে জমির দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আইনাল হক ও তার সহযোগীরা। আইনী লড়াইয়ে না যেয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার জমি দখলের চেষ্টা করছেন তারা।
ভুক্তভোগী তজমিন হোসেনের বড় ছেলে সাগর আহমেদ জানান, চর আবুরী মোজার রাজনগর চরের ৭৫ দাগের ৪৫ শতাংশ জমিতে কলা,মুলা, মরিচ ও হলুদ চাষ করি আমরা। গত শনিবার সকালে আইনাল ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে দেড় বিঘা জমির ফসল কেটে নষ্ট করে দেয়। মাত্র আধা ঘন্টার মধ্যেই তারা প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট করে দেয়।
তিনি আরো বলেন, ‘দিনে দুপুরে আইনাল সহ ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের জমির ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। এখানে চাষাবাদ করলে মারার হুমকি দিয়ে শাসিয়েও গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ চাষী তজমিন আরো বলেন, ‘গত ২৫ বছর ধরে জমি কিনে আমরা চাষাবাদ করছি।খারিজের কাগজসহ ক্রয় বিক্রয়ের বৈধ কাগজ পত্র আমাদের আছে। এরপরেও গ্রাম্য শালিসে তারা যৌক্তিক কোন দলিল বা কাগজ দেখাতে পারেনি। এখন, আমাদের জমি জোর করে গায়ের জোরে দখল নিতে চাইছে।
এব্যাপারে ১৩ খলিসাকুন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.সিরাজুল বিশ্বাস জানান,
এনিয়ে একাধিক সালিশে সমাধান হয়নি। ফসল নষ্টের বিষয়টি আমি শুনেছি।
যেহেতু বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে তাই মারামারি কিংবা জোর পূর্বক কিছু করার সুযোগ নেই, আদালত যে রায় দিবে সেটাই উভয় পক্ষকে মেনে নিতে হবে।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post