জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, তারা সবই নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। আমরা কারো নিয়ন্ত্রণ হতে চাই না। তারা বন্ধুত্বের কথা বললে আমরা চিন্তা করব। কিন্তু আমরা কারো কৃতদাস হব না। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে।
তিনি আরও বলেন, হাওয়া ভবনের দুর্নীতি থেকে দেশকে বাঁচাতে ২০০৮ সালে আমরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ কথার বরখেলাফ করেছে। প্রথমে তারা জাতীয় পার্টিকে তাদের অঙ্গ সংগঠন মনে করত, পরে চাকর ভাবত। এখন মনে করে কৃতদাস।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে জামালপুরের মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোস্তফা আল মাহমুদের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাপা মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু।
জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, সরকার দলীর সব নেতারা একেকজন আঙুল ফুলে কলাগাছ। তাদের সম্পদের হিসাব নেই। টাকা রাখার জায়গা নেই, বিদেশে পাচার করছে। আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আর জেলার নেতারা হয়েছেন শতকোটি টাকা মালিক। পূর্বপাকিস্তান আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করেছিল, আমরা স্বাধীন হলেও বৈষম্য থেকে মুক্তি পাইনি।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রথম যখন বলেছিলাম বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হচ্ছে, সরকার দেউলিয়া হচ্ছে- তখন অনেকেই হাসাহাসি করেছে।
এখন সরকারের উপদেষ্টা বলছে টাকার অভাবে গ্যাস কিনতে পারবে না। প্রবাসীরা বিদেশ থেকে রক্ত পানি করে টাকা পাঠায়, আর আমরা আলোকসজ্জা করি। যেখানেই যাই দেখি ফুর্তি আর ফুর্তি। দেখে মনে হয় সরকার ১২ মাসে ১০০ পার্বণ পালন করছে। অথচ দেশের মানুষ না খেয়ে জীবনযাপন করছেন। ৭০-৮০ ভাগ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।
সম্মেলন শেষে আগামী দুই বছরের জন্য মোস্তফা আল মাহমুদকে সভাপতি এবং জাকির হোসেন খানকে সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয় পার্টির জামালপুর জেলা শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়।
জা// দৈনিক দেশতথ্য// ২৯ অক্টোবর, ২০২২//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post