দেশের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ, বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেড ও আরিশা জুয়েলার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, ভারত ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করলেও আমরা এখনও ১ শতাংশও করতে পারিনি। আমরা কেন জুয়েলারি পণ্য রপ্তানি করতে পারবো না।
আগামীতে জুয়েলারিখাত অগ্রাধিকার শিল্প হিসেবে এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে উৎপাদন করে রপ্তানি করলে জিডিপিতে কন্ট্রিবিউশন বাড়বে। এটা বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
প্রায় দুই কোটি মানুষ বিদেশে আছেন। নবীন প্রবীণ সবাই মিলে বিদেশে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করি।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস আয়োজিত গুণীজন সংবর্ধনা- ২০২১ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই সোনার গহনা মানুষের কাছে মূল্যবান সম্পদ।

অনেকের কাছে আভিজাত্যের অংশ। ধনী বা গরীব কম-বেশি আমরা সবাই ব্যবহার করি সোনার গহনা। অনেকে ভবিষ্যতের সম্পদ হিসেবেও রাখেন সোনার গহনা।
আরিশা জুয়েলার্স লিমিটেডের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোতে সোনার অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব রয়েছে। এ শিল্পে মূল্য সংযোজন অনেক বেশি হয়। হাতে তৈরি গহনার প্রায় ৮০ শতাংশ বাংলাদেশ ও ভারতে প্রস্তুত হয়। কিন্তু সোনার গহনা রপ্তানিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। অথচ রপ্তানিতে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা।
বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেডের এই কর্ণধার বলেন, বিশ্ববাজারে হাতে তৈরি সোনার গহনার কদর বাড়ছে। এশিয়ার অনেক দেশ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সোনার গহনা রপ্তানি করে। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা ও কানাডার মতো উন্নত দেশে বাংলাদেশি গহনা রপ্তানির চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশি কারিগরদের হাতে তৈরি গহনা রপ্তানির বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রয়োজন নতুন নতুন উদ্যোগ। পাশাপাশি সোনার গহনা রপ্তানিতে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন।
সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ২০ হাজার নিবন্ধিত জুয়েলারী ব্যবসায়ী আছেন। এখন জুয়েলারি শিল্প গড়ে ওঠা উচিত। যা দেশের মোট দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি বা জিডিপি’তে ইতিবাচক অবদান রাখবে। বিদেশে আমাদের পোশাকশিল্পের যেমন সুনাম, তেমনি জুয়েলারি শিল্পেও সুনাম অর্জন করতে হবে। পোশাকশিল্পের চাইতে সোনার গহনা তৈরিতে মূল্য সংযোজন অনেক বেশি হয়।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আমার জুয়েলারি ব্যবসায়ী ব্যবসায়ীরা হাতে হাত রেখে এক সাথে কাজ করতে হবে। এটা করতে পারলে, এই শিল্প বিকাশের পথে যেকোন সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে। আগামী দিনে নবীন ও প্রবীণ মিলে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করছি।
এবি/দৈনিক দেশতথ্য /অক্টোবর ৩০/২০২১

Discussion about this post