ঝিনাইদহের শহরের থানা গেটের পাশে মকবুল প্লাজার নিচতলায় কনিকা স্টুডিও এন্ড কালার ল্যাবে ছবি তুলতে ও প্রিন্ট দিতে অস্বাভাবিক মূল্য নেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে গ্রাহককে নাজেহাল করার অভিযোগ উঠেছে।
এতে করে সরকারি বেসরকারি দপ্তরে চাকরির পরীক্ষা, পাসপোর্ট, ভিসাসহ প্রয়োজনীয় ছবি তুলতে গিয়ে প্রতিনিয়তই হয়রানির স্বীকার হচ্ছে গ্রাহকরা। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কালার ল্যাবে প্রিন্ট করা ছবির দরকার হলে কনিকা স্টুডিও থেকে ছবি তোলার প্রয়োজন হয়।
আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ইচ্ছা মত মূল্য তালিকা তৈরি করে বর্তমান বাজার দরের থেকে বেশি পরিমানে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী জানান, কনিকা স্টুডিও থেকে ছবি তুলে ল্যাবে প্রিন্ট দিতে নেয় ১’শত টাকা। পরবর্তীতে সেই তোলা ছবি শুধু প্রিন্ট দিতে নেয় প্রতিকপি প্রায় ১৩ টাকা নিচ্ছে। বাচ্চাদের থ্রি-আর সাইজের ছবি ৩’শত টাকা, পাসপোর্ট ও ভিসা করার জন্য ২ কপি ছবি তুলতে নেয় ১’শত টাকা। এমন অস্বাভাবিক মূল্যে দিশেহারা ছবি তুলতে আসা গ্রাহকরা।
তিনি আরো বলেন, মূল্যদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে সরকার সজাগ থাকলেও তা তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছে প্রতিষ্টানের মালিক স্বপন আহমেদ। কিন্তু মূল শহরের মধ্যে প্রশাসনের নাকের ডোগায় থেকে তারা কিভাবে এটি করছে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন।
আরেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, একটি মাত্র ল্যাব হওয়ায় সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে এ ধরনের ব্যবসা করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। সেই সাথে স্টুডিও’র কর্মচারী রাজেস গ্রাহকদের সাথে বাজে ব্যবহার করে। ছবি তুলতে এলে তাদের সাথে অসদাচারণ করেন। ছবির জরুরী প্রয়োজন হলেও অতিরিক্ত টাকা আদায়ের জন্য রাজেস গ্রাহকদের নানাভাবে হয়রানি করান।
কনিকা স্টুডিও মালিক স্বপন আহমেদ মোবাইল ফোনে জানান, সব কিছুর দাম বেড়েছে তাই আমরাও দাম বেশি নিচ্ছি। এখানে সরকারের কোন দাম নির্ধান নেই। আমরা আমাদের নিয়মে মূল্য তালিকা তৈরি করেছি। সেই অনুযায়ী গ্রাহদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছি।
ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক নিশাত জাহান জানান, কনিকা স্টুডিও অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে এ বিষয়টি শুনেছি । দোষী প্রমানিত হলে খুব দ্রæতই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১৫ জুলাই ২০২৩

Discussion about this post