রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফলে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের অবহেলায় নাসির শরীফ (৬৮) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৪ মে শুক্রবার সকাল ৮টায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির বাবার নাম মৃত আলাস শরীফ । উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের দরগাবাড়ির কাছে তার বাড়ি।
মৃত নাসির শরীফের চাচাতো ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, তার ভাই(২২ মে)বুধবার বিকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাউফল উপেজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডাঃ আবদুর রউবের অধিনে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের এক ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়। এরপর রোগী কিছুটা সুস্থ হন। পরের দিন বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে ডা. ফাতেমা বেগম পরিদর্শনে এসে জানান রোগী সুস্থ আছেন । ওই দিন রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ রোগীর শ্বাস কষ্ট শুরু হলে তার ছেলের স্ত্রী তানিয়া বেগম ডিউটি নার্সদের অবহিত করেন। কিন্তু তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। একপর্যায়ে রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটলে তানিয়া পুনায় ডিউটি নার্সদের জানালে তাদের মধ্যে একজন নার্স ডিউটি ডা. গোলাম মুস্তাহিদ তাসরিফ ফোন করেন। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানা গেছে, ওই সময় ডিউটি ডা. গোলাম মুস্তাহিদ তাসরিফ তার বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন। পরে সারারাত চিকিৎসা না পেয়ে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ওই রোগী মারা যান।
এ ব্যাপারে ডিউটি ডা. গোলাম মুস্তাহিদ তাসরিফকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি ।
এ ব্যাপারে আবাসিক চিকিৎসক (অরএমও) ডা. আবদুর রউব বলেন, বুধবার নাসির শরীফ নামের এক বৃদ্ধ শ্বাস কষ্ট নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তার শরীরে রক্ত ছিল ৭পয়েন্ট।তাকে ওই দিন রক্ত দেয়া হয়। এরপর থেকে রোগীর স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছিল । বৃহস্পতিবারও তার অবস্থা ভালো ছিল। ওই দিন রাত ১২ টায় ডা. ফাতেমা বেগম ওই রোগী দেখে আমাকে জানান রোগী ভালো আছে। শুক্রবার সকালে শুনলাম ওই দিন রাত দেড়টা-দুইটার দিকে নাকি রোগীর শ্বাস কষ্ট বেড়ে যায়। ডিউটি নার্স ডিউটি ডা. গোলাম মুস্তাহিদ তাসরিফে ফোন দিয়ে পাননি। ঘটনাটি দুঃখ জনক।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার পিকে সাহা বলেন, জরুরী বিভাগের ডাক্তার ফোন না ধরে অপরাধ করেছেন। আপনি রোগীর স্বজনদের বলেন আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//