তথ্য সংগ্রহ করা প্রশাসনের কাজ সাংবাদিকের নয় বলে জানালেন মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের (হিজুলী) ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দীন।
সোমবার (২৭ মার্চ), বিকেলের দিকে গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের নিত্যনন্দপুর গ্রামে অবৈধভাবে এক্সেভেটর দিয়ে মাটি কাটার সময় তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তিনি একথা জানান। এসময় তিনি প্রতিনিধির পত্রিকা ও আইডি কার্ড প্রদর্শণ করতে বললে তা প্রদর্শণ করা হলেও তিনি কোনরকম তথ্য না দিয়ে বরং নিজে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বলে জানান এবং রীতিমতো সাংবাদিকদের হেনস্থা করেন।
তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহ সাংবাদিকদের কাজ নয় এটা প্রশাসন সংগ্রহ করবেন। তবে আর কি বিস্তারিত লেখার কোন প্রয়োজন নেই। গাংনী উপজেলা প্রশাসন তথ্য সংগ্রহ ও বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেওয়াটাই ভালো হবে।
উল্লেখ্য, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ঐ নেতা আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে গত কয়েকদিন ধরে নিত্যনন্দপুরে মাটি কেটে স্থানীয় একটি জায়গা ভরাটসহ ভাটাতে মাটি সরবরাহ করছেন। ভাটায় মাটি সরবরাহের কারণে গাড়ি থেকে মাটি পড়ে রাস্তাও নষ্ট হচ্ছে এবং চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এজন্য পুকুর খননে সরকারি অনুমতি রয়েছে কিনা এবং বিস্তারিত জানতে চাইলে কয়েকজন সাংবাদিকের উপর তিনি চড়াও হয়। এসময় সাংবাদিকদের উল্টাপাল্টা কথাও বলে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক যা লেখে লিখুক। এসময় তিনি সাংবাদিকদের কোন তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। জমির মালিক প্রশাসনের ভয়ে এব্যাপারে কোন নিউজ করতে অনুরোধ জানালেও ২৪ লাখ টাকার ভাড়ায় আনা এক্সেভেটর এর অবৈধভাবে মাটি কাটার মূল হোতা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দীন তিনার মাটিবহনকারী গাড়ির মাটি ফেলে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী করে তোলে। ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে রাস্তায় মাটি কাদা না ফেলার কথা দিলেও ইটভাটায় মাটি বহন করে রাস্তার দুরাবস্থার সৃষ্টি করে। একটু বৃষ্টি হলেই যা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
এসময় তিনি বলেন, আমরা গাড়ি ঘোড়া ভাড়ায় নিয়েছি আপনারা যা পারেন করেন। আমরাও কি করতে পারি দেখে নেবে বলে জানান। সুতরাং বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণসহ সাংবাদিকবৃন্দ।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য,২৮ মার্চ ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post