সিলেট অফিস : সিলেটের কানাইঘাটে এবার ও মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ ও সাম্মাম চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন আশিকুর রহমান।
নতুন এ পদ্ধতিতে ক্ষেতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। বিদেশী ফল সাম্মাম ও তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এর দামও রয়েছে চড়া। ফলে কম খরছে অধিক মুনাফা পেয়ে দারুন খুশি কৃষক আশিক। তার সফলতা দেখে অন্যরা এ পদ্ধতিতে তরমুজ সাম্মামসহ সবজী চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার অনেক বেকার যুবক।
সরেজমিনে কানাইঘাট উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউনিয়নের নিজ বাউর ভাগ পশ্চিম এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ২য় বারের মতো
তরমুজ ও সাম্মাম চাষ করেছেন কানাইঘাট উপজেলার কৃষক আশিকুর রহমান।
নতুন এ পদ্ধতি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন তিনি। কৃষি ক্ষেত্রে তার এ সফলতা দেখে উপজেলার অনেক যুবক আজ কৃষি কাজে বিশেষ করে সবজী চাষে এগিয়ে এসেছেন।
আলাপকালে আশিকুর রহমান জানান, তিনি গত ৩ বছর ধরে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন সবজির চাষ করছেন। এ বছর ৪ বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে তরমুজ, সাম্মাম, জিঙ্গা সহ অনেক রকমের সবজি চাষ করেছেন।
ক্ষেতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় সার-কীটনাশক কম ব্যবহার করেছেন। ফলে ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি জানান, ২০২১ সালে প্রথম বারের মতো ১৫ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেন। এতে তিনি ৭০ হাজার টাকা লাভ করেন। ২০২২ তিনি ৪ জাতের তরমুজসহ ২০ শতক জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেন।
এতে ৮০ হাজার টাকা লাভ করেন। ২০২৩ সালে খরছ শেষে তিনি ২ লক্ষ টাকা আয় করেছেন বলে জানান। এবছর তিনি সাম্মাম, তরমুজ, শসা, জিঙ্গা, সীম ও লাউ প্রায় ৪ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি সবজী বিক্রি শুরু ও করেছেন।
তিনি বলেন, মালচিং পদ্বতিতে ক্ষেতে আগাছা একেবারেই না থাকায় খুব কম পরিশ্রমে ব্যাপক ফসল পেয়েছেন। বাজারে সবজূর অনেক চাহিদা থাকায় দামও চড়া। গত দুই বছরের চেয়ে বেশি বিক্রি করতে পারবেন। তিনি তার এসব সবজী চাষে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শ পেয়েছেন।
স্থানীয় কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তারা আশিকের সফলতার কথা লোক মুখে শুনে দেখতে এসেছেন। তার এ সবজি ক্ষেত আজ গোটা এলাকাজুড়ে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। তাকে দেখে আজ অনেক যুবক কৃষি কাজে এগিয়ে এসেছেন।
কানাইঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার বিশ্বজিৎ রায আলাপকালে বলেন, এ উপজেলার বাসিন্দা কৃষক উদ্বোক্তা আশিকুর রহমান তরমুজ, সাম্মাম সহ নানা ধরনের সবজি চাষ করে যাচ্ছেন। তার এ সবজী চাষে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। অমৌসুমী ফসল চাষের মাধ্যমে তিনি নিজেকে একজন সফল কৃষক হিসেবে প্রমান করেছেন।
কৃষক সমিতির এক জন সদস হিসেবে এটা কৃষি উন্নয়নের জন্য ভালো উদ্যোগ। তাকে দেখে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ ইতিমধ্যে তার এ ব্যাতিক্রমী উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন।
হা/03/1024 dtbangla
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post