শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট:
তিস্তা সেতুর টোল আদায়ের টেন্ডার লালমনিরহাট সড়ক জনপদ ১৫ তম পর্যায়ে আহবানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১৪ তম টেন্ডারে উপযুক্ত দর না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। বর্তমানে সড়ক সেতুটির টোল লালমনিরহাট সড়ক ও জনপদ বিভাগ খাস আদায় করছে।
তিস্তা সড়ক সেতুটি উত্তরাঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সড়ক পথে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার সাথে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এটি। প্রতি ঘন্টায় যান্ত্রিক, অযান্ত্রিক, মোটর সাইকেল, বাস, ট্রাক, পিকাপ, ভ্যান হসহ কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। এই সেতুতে পারাপারের জন্য সরকারকে টোল দিতে হয়। প্রতিটি যানবাহনের জন্য নিধারিত টোল রয়েছে। প্রতি তিন বছর পরপর টোল আদায়ে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে থাকে সড়ক ও জনপদ লালমনিরহাট দপ্তর। সার্বজনীন ট্রেন্ডারের মাধ্যমে যেকোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই টেন্ডারে অংশ গ্রহন করতে পারে। তাদের সড়ক ও জনপথ বিভাগের থাকতে হবে লাইসেন্স ও কিছু শর্ত পুরণ করতে হবে। ইতোমধ্যে ২০২৪ সালের এসে পূর্বের টোল আদায়ের প্রতিষ্ঠানের টোল আদায়ের ৩ বছর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে সড়ক ও জনপদ বিভাগ নিজেদের কর্মচারি দিয়ে খাস আদায় করছে। নতুন টেন্ডার নিয়ে মহা বিড়ম্বনায় পড়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। নতুন টোল আদায়ের ঠিকাদার নিয়োগে পর পর ১৪ বার টেন্ডার দিয়েও টোল আদায়ের ঠিকাদার নিযোগের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করতে পারছেনা। এবারে ১৫ তম বার টেন্ডার আহবান করছে। বিগত দিনে রেগনাম পেন্টার্স জেবি নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৩ বছরের জন্য টোল আদায়ের কাজ টেন্ডারে পেয়েছিল। তারা ৩ বছরের জন্য টোল আদায়ের কাজটি ৪৮ কোটি টাকায় পায়। এই ৪৮ কোটি টাকা ৩ মাস পর পর কিস্তিতে পরিশোধ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ৫ কোটি টাকা টোল বকেয়া রাখে তাদের টোল আদায়ের মেয়াদ শেষ করেছে। লালমনিরহাট সড়ক জনপদ বিভাগ এই টোল আদায়ের প্রক্রিয়া সচল রাখতে ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর প্রথমবার টেন্ডার আহবান করে। এভাবে ১৩ তম বারে এসে লালমনিরহাট শহরের ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন সুমন ৪৮ কোটি টাকা টেন্ডারের প্রাক্কলিত মূল্য দেয়। টেন্ডার টি ব্যক্তিকে দেয়ার জন্য লালমনিরহাট সড়ক জনপদ সুপারিশ করে। কিন্তু সুপারিশ চুড়ান্ত হওয়ার পূর্বেই জুলাই – আগষ্ট বিপ্লবে সরকার পরিবর্তন হয়। ফলে তিস্তা টোল আদায়ের টেন্ডার প্রক্রিয়াটি স্থগিত হয়ে যায়। পুনরায় ১৪ তম বারে টোল আদায়ের টেন্ডার আহবান করে। সেখানে জনৈক ব্যক্তি মাত্র ৩১ কোটি টাকা টোল আদায়ের টেন্ডার মূল্য সর্বোচ্চ দেয়। একটি প্রভাবশালী মহল থাকে কাজটি দিতে তোড়জোর শুরু করে। কিন্তু লালমনিরহাট সড়ক ও জনপদ বিভাগ তাকে কাজ না দিয়ে পুনরায় টোল আদায়ের টেন্ডার করার প্রক্রিয়া শুরু করছে বলে জানা গেছে। লালমনিরহাটের জেলা সদরের গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর উপর তিস্তা সড়ক সেতুটি অবস্থান। এই সেতুটি লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম ও রংপুর মহা সড়কে অবস্থিত। তিস্তা সেতুটি লালমনিরহাট সড়ক জনপদের তত্বাবোধানে রয়েছে। প্রতি ৩ বছর পরপর সেতুটির টোল আদায়ে টেন্ডার হয়ে থাকে।
লালমনিরহাট সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মোমেন জানান, তিস্তা সেতুর টোল আদায়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ নিয়ে মহা বিপাকে রয়েছি। সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে টোল আদায়ের ঠিকাদার নিয়োগে কখন পূর্বের মূল্যের চেয়ে কমমূল্যে হয় না। এখানে ঠিকাদার গণ বারবার টেন্ডারে পূর্বের মূল্যের চেয়ে কমমূল্য ড্রপ করছে।
তিনি আরো জানান, চুড়ান্ত ভাবে টোল আদায়ের ঠিকাদারি কাজ দেয়ার এক্তিয়ার ঢাকা সড়ক ভবনের কর্মকর্তা গণের কমিটির। লালমনিরহাট সড়ক ও জনপদ বিভাগ শুধুমাত্র সুপারিশ করতে পারি। বর্তমানে সড়ক ও জনপদ বিভাগ নিজেদের কর্মচারি দিয়ে খাস আদায় করছে।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post