মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা:
মির্জাপুরে তীব্র গরমে থামছে না শিুশদের ডায়রিয়াসহ নানা রোগ। শিশুদের পাশাপাশি বয়স্কদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা রোগ।
হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের উপচেপড়া ভিড় দিন দিন বাড়ছে। রোগীদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতাল ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে প্রখর রোদ ও তীব্র গরম বিরাজ করছে।এ কারনে মির্জাপুর পৌরসভা, মহেড়া, জামুর্কি, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ওয়ার্শি, ভাতগ্রাম, ভাওড়া, বহুরিয়া, গোড়াই, লতিফপুর, আজগানা, তরফপুর ও বাঁশতৈল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে শিশুদের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। শিশুদের সর্দি, জ্বর, শ্বাস তন্ত্র, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্ককিউলাইটিস, ডায়রিয়া এবং বয়স্কদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা রোগ।
মির্জাপুর উপজেলা সদরের কুমুদিনী হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীদের উপচেপড়া ভিড়। বহিঃ বিভাগে গিয়ে দেখা গেছে কয়েক শতাধিক অভিভাবক তীব্র গরম জনিত কারনে রোগে অসুস্থ শিশুদের নিয়ে চিকিৎসার জন্য লাইনে দাড়িয়ে রয়েছেন। কুমুদিনী হাসপাতালে বহি:বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা অসুস্থ এক শিশুর মা বলেন, তার দেড় বছরের শিশু কন্যা বেশ কিছু দিন সর্দি, জ্বর, ঠান্ডা ও ডায়রিয়া। বাড়িতে চিকিৎসায় ভাল না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এখানে নিয়ে এসেছেন।
অপর দিকে কুমুদিনী হাসপাতাল ছাড়াও সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারী ক্লিনিক মির্জাপুর জেনারেল হাসপাতাল, যমুনা জেনারেল হাসপাতাল, মর্ডান হাসপাতাল, বংশাই ডিজিটাল হাসপাতাল, বিকাশ হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে চিকিৎসা নিতে আসা গরম জনিত রোগে আক্রান্ত শিশুসহ বয়স্কদের ভিড়। ক্লিনিকের চিকিৎসকগন তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
কুমুদিনী হাসপাতালের হাসপালের শিশু বিভাগের চিকিৎসকগন জানান, বহিঃবিভাগে প্রতি দিন ২৫০-৩০০শ জন শিশু গরমে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছে। চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং অভিভাবকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাদের অবস্থা একটু খারাপ তাদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা চলছে।
কুমুদনিী হাসপাতালের শিশু বিভাগে গিয়ে দেখা গেছে ওয়ার্ডের পাশাপাশি বারান্দায় বিমেষ ব্যবস্থায় শিশুদের চিকিৎসা চলছে।
কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) অনিমেশ ভৌমিক লিটন জানিয়েছেন, তীব্র গরমে অসুস্থ ভর্তিকৃত শিশু ও বয়স্কদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের সতর্ক অবস্তায় রাখা হয়েছে। তারা দিন রাত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কুমুদিনী হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (পেডিয়াট্রিকস) এমপিএইচ (নিপসম) ডা. এ বি এম আলী হাসান বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে তীব্র গরমের কারনে শিশুসহ বয়স্কদের মধ্যে জনিত রোগ ছড়িয়ে পরেছে। বিশেষ করে শিশুদের সদি, জ্বর, শ্বাস তন্ত্র, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া এবং বড়দের মধ্যেও নানা রোগ দেখা দিয়েছে। যারা চিকিৎসার জন্য আসছেন হাসপাতালের চিকিৎসকগন রোগীদের যত্ন সহকারে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।
মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফরিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রে এবং মা শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্য সহকারী ও স্বাস্থ্য সেবিকাগন তীব্র গরমে নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের এবং বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক পরামর্শ ও বিনামুল্যে ওষুধ দিয়ে যাচ্ছেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post