Print Date & Time : 9 June 2025 Monday 10:01 pm

দখলদারের প্রাচীরে অবরুদ্ধ সরকারি কর্মচারী

আদালতের নিষেধাজ্ঞ অমান্য করে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে বসবাস করা বরাদ্দকৃত সরকারি বাড়ির মূল প্রবেশ দরজার সামনে প্রাচীর নির্মাণ করে অবরুদ্ধ করে রেখেছে স্থানীয় এক কুচক্রী মহল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কুষ্টিয়া শহরস্থ থানাপড়ার ২৩ সামসুল ও বায়েদ সড়ক সংলগ্ন ২৩ নং মজমপুর মৌজার আর.এস ২৭১ খতিয়ানের ১৫১০দাগে .৬৮১ শতাংশ জমি বাড়ি হিসেবে প্রচলিত থাকলেও পরবর্তীতে তা পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে লীজ সূত্রে ভূতপূর্ব ১৬/১নং হোল্ডিং এর পরিত্যক্ত বাড়িতে পরিবার-পরিজন নিয়ে শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে বসবাস করে আসছে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী মো: লুৎফর রহমান পিতা : মো : হারেজ উদ্দিন।

সরকারি এই বাড়ির পার্শ্ববর্তী সংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা সেলিনা আক্তার এবং মতিউর রহমান লীজকৃত আরএস ১৫১০দাগের সরকারি জমির উপর পশ্চিম পাশ দিয়ে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করে ব্যবহার করেই ক্ষান্ত হয়নি পরে সেলিনা আক্তার এবং মতিয়ার রহমান সরকারি জমির উপর প্রাচীর নির্মাণ করে মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের বসবাস কৃত সরকারি বাড়ি থেকে বের হওয়ার মুল দরজা বন্ধ করে দিলে রীতিমতো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী লুৎফুর রহমান ও তার পরিবার।

সরকারি জমি দখলের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ভুক্তভোগী লুৎফুর রহমান লিখিতভাবে জেলা প্রশাসকের নজরে আনলে। সহকারী কমিশনার (ভুমি) সদর কুষ্টিয়া মজমপুর ইউনিয়ন ভূমি সরকারী কর্মকর্তা মো : করম আলীকে নির্দেশ দিলে। এই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সরেজমিন করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন , অভিযুক্ত সেলিনা আক্তার এবং মতিয়ার রহমানের তৈরি করার রাস্তা এবং রাস্তার সংলগ্ন প্রাচীর সম্পূর্ণ সরকারি জায়গার উপরে অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে নির্মিত। এবং যার দরুন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী লুৎফর রহমানের ব্যবহৃত লীজকৃত বাড়িটি রয়েছে পুরোপুরি অবরুদ্ধ অবস্থায়।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, দখলবাজ ভূমিদস্যু সেলিনা আক্তার ও মতিউর রহমান সরকারি জমিতে প্রাচীন নির্মাণ করে বসবাসরত বাড়ির প্রবেশ দরজা বন্ধ করে এবং সরকারের কোন অনুমতি ছাড়াই সরকারি জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণ করে সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করেছে। রাস্তা ও প্রাচীর নির্মাণরত অবস্থায় আদালতের ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞ অমান্য করেই এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে অভিযুক্তরা। সরকারি মূল্যবান এসব সম্পদ দখলবাজদের হাত থেকে মুক্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান অবসরপ্রাপ্ত সরকারি এই কর্মচারী ।

খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২১ আগস্ট ২০২৩