কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে “দৈনিক লালন কন্ঠ” পত্রিকার সহকারী সম্পাদক সাংবাদিক মহন আলী’র উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গত বুধবার (২২ শে নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫ টায় দৌলতপুরের পিয়ারপুর ইউনিয়নে পিয়ারপুর গ্রামে সংবাদ সংগ্রহ করে ফিরে আসার পথে সংগ্রহ করা প্রমান লোপাটের উদ্দেশ্যে আতা গং কর্তৃক পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে কাছে থাকা দু’টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
থানার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, “দৈনিক লালন কন্ঠ” পত্রিকার সহকারী সম্পাদক সাংবাদিক মহন আলী ইতিপূর্বে আসামীদের নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করিয়া তাহাদের সহিত পূর্ব শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা বিভিন্ন সময় আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি ও খুন জখম করার সুযোগ খুজতে থাকে।
গত বুধবার (২২ শে নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় সংবাদ সংগ্রহ কাজ শেষে দৌলতপুর পোড়াসলুয়া গ্রাম হইতে মোটরসাইকেল যোগে একাকী বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হইলে দৌলতপুর থানাধীন পিয়ারপুর শেখপাড়া গ্রামস্থ ফীড ফ্যাক্টরির সামনে পাকা রাস্তার উপর ১। মোঃ আশরাফুল মোল্লা (৪০), পিতা- মোঃ সিরাজ মোল্লা, ২। মোঃ আতা মালিথা (৩৮) পিতা- বিষু মালিথা, ৩। মোঃ রনজেত মাল (৪৫), পিতা- মৃত কিয়ামত মাল, ৮। মোঃ রাজিব (২৬), পিতা- শরুল মোল্লা, ৫। মোঃ শামীম মালিথা (২৮), পিতা- মিনহাজ মালিথা, ৬। মোঃ সেরু মালিথা (৩০), পিতা- মৃত আনাজ মালিথা, সর্ব সাং- পোড়াসালুয়া, ৮নং পিয়ারপুর ইউপি, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া সহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় তৈরী ধারালো রামদা, লোহার রড, বাটাম নিয়ে তার মোটরসাইকেল গতিরোধ করিয়া ১ নং আসামী মোঃ আশরাফুল মোল্লা এর হুকুমে, ২ নং আসামী মোঃ আতা মালিথা তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথার পিছনে স্ব-জোরে আঘাত করিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। মহন মাটিতে পড়ে গেলে সকল আসামীরা একযোগে লোহার রড,লাঠি, বাটাম দিয়ে শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিয়া ফোলা কালশিরা জখম করে। ৩ নং আসামী মোঃ রনজেত মাল মহনের প্যান্টের পকেটে থাকা মানিব্যাগে রক্ষিত নগদ ৭,৫০০/- টাকা ছিনিয়ে নেয়। ৫ নং আসামী মোঃ শামিম মহনের প্যান্টের পকেটে থাকা ইনফিপি স্ক্রিন টাচ মোবাইল যাহার মূল্য ১৮,০০০/- টাকা ও একটি রেডমি স্ক্রিন টাচ মোবাইল যাহার মূল্য ২৮,০০০/- টাকা নিয়ে নেয়। পরে মহনের ডাক চিৎকারে আশেপাশে থাকা সাক্ষীগন ঘটনাস্থল হইতে জখম অবস্থায় মহনকে উদ্ধার করিয়া দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভর্তি করেন।
এব্যাপারে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান,অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির তদন্ত চলছে। অতি দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২৩ নভেম্বর ২০২৩
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post