নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:
নেছারাবাদে আল-আমীন সিকদার নামে এক যুবকের কাছে চোরাই মটরসাইকেল কিনে টাকা ফেরৎ চাওয়ায় লাঠির আঘাতে মো: সোহাগ মিয়া(৩৮) নামে এক যুবক রক্তাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার পরে উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরশহরের ঘনমান এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আহত যুবককে উদ্ধার করে নেছারাবাদ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি দিয়েছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আল-আমীন সিকদার।
আহত ওই যুবক সোহাগ মিয়া অভিযোগ করেন, তিনি কয়েক বছর পূর্বে এলাকার আল-আমীন সিকদার নামে এক যুবকের কাছ থেকে একটি মটর সাইকেল কিনেছিলেন। সোহাগ মিয়া সেই মটরসাইকেলের কাগজ চাইলে আল-আমীন তাকে আজকাল বলে গাড়ীর কাগজ দিচ্ছিলেননা। পরে সে বুঝতে পারে মটরসাইকেলটি চোরাই। একসময় সোহাগ আল-আমীনকে মটরসাইকেল ফেরৎ দিয়ে দিলেও আল-আমীন তাকে গাড়ীর টাকা ফেরত দিচ্ছিলনা।
শুক্রবার সোহাগ মিয়া আল-আমীনের কাছে টাকা চাইতে গেলে উভয়ের মধ্য বাক বিতন্ডতা হয়। একপর্যায়ে আল-আমীন সিকদার সোগাগকে ঘুষি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এসময় আল-আমীনের সাথে থাকা রুহুল সিকদার,শান্ত সিকদার, মানিক সোহাগের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এসময় আল-আমীন সিকদার লাঠি দিয়ে সোহাগের মাথায় আঘাত করে। এতে সোহাগ মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছে। সোহাগের অভিযোগ আল-আমীন এলাকায় চোরাই গাড়ী বিক্রি সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত।
অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্ত আল-আমীন সিকদার বলেন, সোহাগ আমার কাছ থেকে কোন গাড়ী ক্রয় করেনি। সে এলাকার একজন চিহ্নিত মাতাল। সোহাগ সর্বদা নেশা করে রাস্তায় যা ইচ্ছা করে বেড়ায়। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কেহ কোন প্রতিবাদ করলে তাকে তিনি মারধর করে বেড়ান। শুক্রবার সোহাগ নেশা করে এলাকার ছোট ভাইদের তেড়ে এসে মারধর শুরু করে। এসময় ছুটে এসে সোহাগকে থামতে বললে সোহাগ আরো উত্তেজিত হলে তাকে কয়েকটা চড় থাপ্পড় দিয়েছি।
প্রত্যক্ষদর্শী মো: সালেক মিয়া বলেন, আমি এশার নামাজের পর রাস্তার পাশে চা খাচ্ছিলাম। এসময় আওয়াজ শুনে কাছে গিয়ে দেখি স্থানীয় সৈয়দ মিয়ার ছেলেকে একই এলাকার আলআমীন এর নেতৃত্বে সোহাগকে মারধর করা হচ্ছে। তখন আমরা সোহাগকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
নেছারাবাদ থানার ওসি তদন্ত এইচ,এম শাহিন জানান, শুনেছি পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডে একটা মারামারি হয়েছে। আহত সোহাগের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।