নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসামাল দৌলতপুরের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ কাঁচাবাজারে সবকিছুরই দাম চড়া। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশী-বিদেশী মুরগী আট এলপিজি গ্যাসের দাম।
গেল ৫দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ, বর্তমান বাজার মূল্য ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি। সপ্তাহখানেক আগে যা ছিলো কেজি প্রতি ৪০-৪৫ টাকা। কাঁচামরিচের মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকা কেজিতে। আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে। চড়া দাম বাজারে আসা নতুন মৌসুমী সবজির, মূলা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। শিম ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। উচ্ছ্যের দাম ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি। প্রতিবাজারেই সবজির দাম কেজিপ্রতি বেড়ে চলেছে।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মরিচ, পেঁয়াজ ও অন্যান্য নিত্য পন্যের পাশাপাশি সপ্তা’র ব্যবধানে সিলিন্ডার প্রতি বাড়তি দামে এলপিজিতে যোগ হয়েছে আরও দেড়শো টাকা, বর্তমান বাজার মূল্য ১০৬০ থেকে ১০৮০ টাকা। তবে, খানেকটা স্থিতিশীল আছে চাল, আটা ও চিনির বাজার। লিটারে ৫ টাকা করে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম।
দশ দিনের ব্যাবধানে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে মাংসের দাম। ডিমের দাম ৩০ পিসের খাঁচা প্রতি বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে এখন উঠছে লাউ, শিম, কুমড়া, পালং শাক, ফুল কপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, করোলা, শশা, পটল, পেঁপেসহ বিভিন্ন সবজি।
বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদনে সমৃদ্ধ হওয়া সত্বেও কৃষক পর্যায় থেকে কাঁচাবাজারে উঠলেই দু’ধাপে কিভাবে এসব পণ্যের দাম এত বেশি বেড়ে যাচ্ছে তা নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দৌলতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তার কাছ থেকে দ্রব্যমূল্যের তথ্য নেয়া হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। ইউএনও স্যার নতুন যোগদান করেছেন, বিষয়গুলো তাঁকে অবগত করা হবে।