কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা পল্লি উন্নয়ন (বিআরডিবি) কর্মকর্তা মোঃ কাবিল উদ্দিন এর নামে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ঋন উপকার ভোগীরা।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য আছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা বিআরডিবি অফিস বিভিন্ন প্রকল্প এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ সমিতি গঠন করে নিম্ন আয়ের মানুষদের ঋন সহায়তা ও পুজি গঠন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। যেটা বর্তমান সরকার প্রধানের একটি অঙ্গিকার। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত এই উপজেলার পল্লী উন্নয় কর্মকর্তা কাবিল উদ্দিন যোগদানের পর থেকে উপকার ভোগীগন তার কাছ থেকে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ্য করেছেন, উপকারভোগীরা তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য অফিসে গেলে অধিকাংশ সময় তিনি অনুপস্থিত থাকেন, এমনকি তিনি রবিবার এবং বৃহস্পতিবার অফিসে-ই আসেন না। পাড়া ভিত্তিক সমিতি হওয়ার কারনে জাতীয় পরিচয় পত্রে পাড়া/গ্রামের নাম উল্লেখ না থাকার কারন দেখিয়ে বিশ বছর ধরে চলে আসা সমিতি’র দল বাতিল করা। নিজে গুড়ামি করে ঋন প্রদান করতে অপারগতা প্রকাশ করা এবং কোন কারন ছাড়াই উপকারভোগীদের শেয়ার ও স য় পত্রে জমা থাকা আমানত এর লভ্যাংশ না দিয়ে শুধুমাত্র জমাকৃত আমানত ফেরত দিয়ে সদস্য ও সমিতি/দল বাতিল করে দেওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগ লিখিতভাবে উল্লেখ্য করেছেন উপকারভোগীরা।
এবিষয়ে কয়েকজন উপকারভোগীর সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উপজেলা পল্লি উন্নয়ন অফিসে এই কর্মকর্তা যোগদান করার পর থেকে অফিসটি তার বাপ দাদার সম্পত্তি বলে মনে করেন। তিনি আইন কানুন না মেনে নিজের মত আইন বানিয়ে কার্যক্রম চালান। সেই সাথে আমরা উপকারভোগীরা অফিসে গেলে তিনি আমাদের সাথে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলেন। তারা আরোও বলেন, যদি এই কর্মকর্তার ব্যবহার এবং মন মানুষিকতার পরিবর্তন না হয় তাহলে বর্তমান সরকারের দারিদ্র মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়টি সম্পুর্ন বাধাগ্রস্থ হবে বলে জানান তারা।
অভিযোগের ব্যাপারে পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা (বিআরডিবি) কর্মকর্তা কাবিল উদ্দিন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কাগজপত্র সঠিক না থাকার কারনে ঋন প্রদান করা হয়নি এবং সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। যারা কাগজপত্র ঠিক করে আনতে পারবে তাদের সদস্য পদ বাতিল হবেনা বলে জানান তিনি। সপ্তাহে তিনদিন অফিসে উপস্থিত হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১৪ মে ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post