সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট: জেলার পাটগ্রাম পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র ধরলা নদীর তীরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা।
প্রতি বছর এই ইস্তেমা জেলা সদরের কালেক্ট্ররিয়েট মাঠে হয়ে আসছিল। এবছর এই মাঠে মাস ব্যাপী মেলা চলায় ৩৮ বছর পর আচ বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ভোর থেকে জেলা মহর হতে প্রায় একশত কিলোমিটার দুরে পাটগ্রাম উপজেলায় ইজতেমা শুরু হয়েছে।
গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছিল। এই হাড় কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে একদিন আগে মুসল্লিরা আসতে থাকেন ইস্তেমার মাঠে।
বৃহস্পতিবার ইজতেমা মাঠে আসছেন হাজার হাজার মুসল্লি। এখানে ইন্দোনেশিয়া ভারতের দিল্লির, পাকিস্তানসহ নানা দেশ হতে তাবলীগ জামাতের অতিথিরাও এসেছেন। রাজধানী ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি মাওলানা আশরাফ আলী তার সাথীদের নিয়ে বয়ান পরিচালনা করবেন। শনিবার বাদ যোহর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে। শুক্রবার ইস্তেমা মাঠে লাখো মুসল্লির সমাবেশ ঘটবে জুম্মার নামাজে।
পৌরসভার সাবেক মেয়র শমসের আলী জানান, এখানে ইজতেমাকে কেন্দ্র করে পাটগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ সহযোগিতা করছে। এরই মধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে তাবলিগের মেহমানরা এসেছেন। তিন দিনব্যাপী ইজতেমা আশা করি সুন্দরভাবে শেষ হবে।
পাটগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, তিন দিনব্যাপী ইজতেমায় যেকোনো অবাঞ্চিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ আছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের টহল আছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানান, ইস্তেমায় ফ্রি মেডিক্যালটিম, এ্যাম্বুলেন্স সেবা রয়েছে। সেখাসে স্বাস্থ বিভাগ বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ঔষদ সরবরাহ করবে।
এদিকে ইস্তেমায় যোগদিতে এসে দূভোর্গে পড়েছন মুসল্লিরা। জানাযায়, লালমনিরহাট জেলা শহরে যারা বুধবার রাত ৮ টার পর দেশের বিভিন্ন স্থান হতে পাটগ্রামে ইস্তেমায় যোগদিতে এসেছিল রাতে পরিবহনের অভাবে যেতে না পেরে সারারাত দূভোর্গে পড়ে ছিল। ভোর বেলায় ঢাকার নৈশ কোচ গুলো এলে তবেই তারা পাটগ্রামে যেতে পেরেছে। লালমনিরহাট জেলা হতে রাত ৮ টার পর কোথাও বাস চলাচল করে না। এমন কি প্রায় ১৫ বছর ধরে পাশের কুড়িগ্রামের সাথে কোন বাস যোগাযোগ নেই। শহরের প্রাণ কেন্দ্র মিশন মোড়ে সিলেট হতে আসা একদল মুসল্লিদের দুর্ভোগের কথা সংবাদ কর্মীদের জানান। মুরুব্বি রমজান বলেন, আল্লাহের পথে এসেছি সিলেট হতে। কিন্তু এখানে এসে দেখি রাতে না-কি কোন বাস বা যানবাহন চলাচল করে না। আধুনিক এই যুগে এটা কিভাবে সম্ভব। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া চলে নাকি।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post