নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর পত্নীতলায় মাছ চাষে ‘আশা’রদিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হলরুমে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশা’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার এ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (ফিশারিজ) সবুজ কুমার চৌধুরী।
আশা’র জেলা ম্যানেজার মামুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে ও আশা’র জেলা সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার (কৃষি) সাইফুদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলী। এছাড়াও পত্নীতলা উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মহসিনা পারভীন, আশা’র নজিপুর অঞ্চল সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার শামিম হোসেন, আশা’র নজিপুর শাখার সিনিয়র ম্যানেজার কামরুজ্জামান সরদার প্রমুখ। কর্মশালায় তিনটি ব্যাচে জেলার ১১টি উপজেলার মোট ৯০জন মৎস্য চাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আশা শুধু মাছ চাষেই নয় বিভিন্ন খাতে আশা’র সদস্য ও সদস্যের বাহিরে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। আগামিতেও এই ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। শুধুমাত্র প্রশিক্ষণে প্রাপ্ত জ্ঞানকে মাঠ পর্যায়ে সঠিক ভাবে প্রয়োগ করার প্রতি তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের আহ্বান জানান।
৯.জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রবীণ সদস্য এরশাদ মজুমদার আর নেই
জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রবীণ সদস্য, প্রখ্যাত সাংবাদিক কবি এরশাদ মজুমদার আর নেই।
গতকাল রবিবার রাত ১১টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)।
তিনি ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার মরহুমের নামাজের জানাজা প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
এরশাদ মজুমদার ১৯৪২ সালের ৬ জানুয়ারি ফেনীর উকিলপাড়ার মজুমদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফেনী কলেজ, জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা কলেজে লেখাপড়া করেন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করেন।
দৈনিক সংবাদ, পূর্বদেশ, বাংলার বাণী, জনপদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেন। তৎকালীন পাকিস্তান অবজারভারে অর্থনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেন। এ দেশের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ তিনি।
এরশাদ মজুমদার ১৯৭৮ সালে সাপ্তাহিক রিপোর্টারের প্রধান সম্পাদক, দৈনিক ফসল ও দৈনিক রিপোর্টারের সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি ডেইলি নিউজ এবং ডেইলি নিউ নেশন-এ ম্যানেজিং এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯৮ সালে সাংবাদিকতার পেশা থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি একজন সফল অনুবাদক। তিনি রুমি ও মনসুর হাল্লাজের কবিতা অনুবাদ করেছেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব সদস্য কবিদের সংগঠন কবিতাপত্র পরিষদের তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। সংগঠনের কবিতাপত্র নিয়মিত প্রকাশেও রয়েছে তাঁর অনন্য ভ‚মিকা। গল্প উপন্যাস কবিতা ছড়াসহ তার ১৪টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে আছে- মায়ের চিঠি, কবিতার বই, ছড়ার বই, উপন্যাস নায়িকা, অনুবাদ নিজেকে বিবস্ত্র করে, কালো কবিদের কবিতা, ডিমের খোসায় পথচলা, আত্মার শব্দাবলী, ঢাকার ৫শ’ বছর, ৪৮ নম্বর তোপখানা রোড, তুর্কি কবিতার অনুবাদ, উপন্যাস নর-নারী ও রমণী, কৃষ্ণকথা, স্মৃতিকথা পিতা পুত্রকে। তার বিখ্যাত বই ‘বায়া দলিলের সন্ধানে’। বইটিতে লেখকের শ’দুয়েক কলাম সংযোজিত হয়েছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া এরশাদ মজুমদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

Discussion about this post