রাশেদুজ্জামান,নওগাঁ প্রতিনিধি: সারাদেশে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের কার্যক্রম নজরদারী করতে ও তাদের উপর গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পুলিশের অভ্যন্তরীন ওভারসাইট নামে একটি বিশেষায়িত বিভাগ কাজ করে। ২০০৭ সালে এই বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হয়। নওগাঁর একজন স্থায়ী বাসিন্দা ভুয়া তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের অভ্যন্তরীন ওভারসাইটে (পিআইও) পদে বহাল তবিয়তে দীর্ঘ দিন ধরে চাকরি করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এঘটনায় এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। নওগাঁর পৌরসভার কোমাইগাড়ী মহল্লার স্থায়ী বাসিন্দা, মো:মোখলেছুর রহমান একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য এর চার পুত্র প্রথম পুত্রের নাম ,মো: রশিদুল আলম,তিনিও বাংলাদেশ পুলিশের কনেস্টবল পদে চাকরিতে কর্মরত। তবে দ্বিতীয় পুত্রের প্রকৃত নাম মাহবুব আলম রানা,হলেও তাঁর নাম ভোটার তালিকাতে রয়েছে মো: আকবর আলী এবং পিতা, মো: মকবুল হোসেন ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ঐ পুলিশ সদস্য মো: মোখলেছুর রহমানের, দ্বিতীয় পুত্রের প্রকৃত নাম মো: মাহবুব হাসান (রানা) বলেও জানা যায়।
এলাকাবাসী ও ভোটার তালিকা সূত্রে,জানা গেছে, এলাকায় তাঁর প্রকৃত নাম মো: মাহবুব আলম রানা, কিন্তু ভোটার তালিকা অনুপাতে পিতার নাম মো: মকবুল হোসেন এবং তাঁর ছেলে আকবর আলী নামে কেউ আছে বলে কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি। ওই আকবর আলী পিতা মো মকবুল হোসেন নামে কোমাইগাড়ী মধ্যপাড়া মহল্লায় কেউও নেই বলে জানা গেছে।
চকএনায়েত উচ্চ বিদ্যালয় নওগাঁ সদর, নওগাঁ, সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ সদর পৌরসভার মধ্যপাড়া কোমাইগাড়ী মহল্লার, মো: মোখলেছুর রহমান অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের ছেলে মো: মাহবুব হাসান নামে ১৯৯৭-৯৮ সালে চকএনায়েত উচ্চ বিদ্যালয় এস এস সি পরিক্ষার্থী ছিলেন। চকএনায়েত উচ্চ বিদ্যালয়ে তাঁর পিতার নাম ব্যবহার করা হয়েছে মো: মোখলেছুর রহমান।
শতপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রসা সূত্রে জানা গেছে, পিতা মো: মোখলেছুর রহমান ছেলে মাহবুব হাসান রানা নামে কোনো ছাত্রকে শতপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রসায় ভর্তি করা হয়নি। তবে ২০০১ সালে মো: মকবুল হোসেন এর ছেলে মো: আকবর আলী নামে একজন ছাত্র পরিক্ষাথী ছিলেন এবং ২০০১ সালে ঐ ছাত্র আকবর আলী, এস এস সি পরিক্ষা দিয়ে, জিপিএ, ২.৮৩ পেয়ে উত্তির্ণ হয়েছে। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের কাছে, আকবর আলীর নাম ঠিকানা দেখতে চাইলে তাঁরা বলেন,আমাদের বিদ্যালয়ে ১৯৯৯-২০০১ সালের কোনো রেজিষ্টার বহিঃ নেই বলেন শতপুর ইসলামীয়া মাদ্রাসায় নাই বলে সাংবাদিককে জানান। অপরদিকে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান( মুকুল) এর কাছে ঐ ছাত্রের স্থায়ী ঠিকানা জানতে চাইলে সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরেও মো:আকবর আলী নামের কোনো ঠিকানা দেখাতে পারেননি।
তাঁর ছোট ভাই মো: মেহেদী হাসান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাঁর পিতার নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাবার নাম মোখলেছুর রহমান মাতার নাম রওশন আরা বেগম, মধ্যপাড়া কোমাইগাড়ী,নওগাঁ সদর, নওগাঁ বলে জানান। তবে তাঁর পিতার অন্য কোন নাম রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বাবার একটাই নাম মো: মোখলেছুর রহমান আর কোন নাম নাই।
ভুয়া নাম ধারী মো: মাহবুব হাসান (রানা) ছদ্দবেশী, মো: আকবর আলীর কাছে তার পিতার নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাবার নাম মো: মকবুল হোসেন এবং তাঁর নাম আকবর আলী বলেন। পরে ভোটার তালিকা অনুপাতে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন আমার পিতার নাম ভোটার তালিকাতে ভুল রয়েছে। এবিষয়ে আমার সাথে ফারদার কথা বলার চেষ্টা করবেন না আর কথা বলার চেষ্টা করলে আপনে নওগাঁ সাংবাদিকতা করতে পারবেন না বলে দিলাম বলে হুমকিও প্রদান করেন।
নওগাঁ পুলিশ সুপার রাশিদুল হক এর সাথে মুঠোফোনে বারংবার যোগায়োগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post