Print Date & Time : 23 August 2025 Saturday 11:29 pm

নারায়নগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার খানের মৃত্যু

মুহাম্মাদ রুমান দেওয়ান, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা:

সাত খুনে নিহত মনিরুজ্জামান খান স্বপন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মিজানুর রহমান খান রিপনের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী খান (৮০) রবিবার মারা গেছেন।

গতকাল সোমবার তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আদমজী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এর আগে সকাল ১১ টায় আদমজী নগর এম ডব্লিও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি শরিয়তপুর জেলার নারিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ কালে তিনি প্রথমে দুই নম্বর সেক্টরে ও পরে আট নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন।

কাউন্সিলর মিজানুর রহমান খান রিপন বলেন, “প্রতিবছর এপ্রিল মাস এলেই আমার বড় ভাই ৭খুনে নিহত শহিদ মনিরুজ্জামান খান স্বপন এর শোকে কাতর হয়ে পড়েন আমার বয়স্ক বাবা-মা। ছেলের শোকে কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২০ এপ্রিল বাবাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার কেবল একটাই ইচ্ছা ছিল, পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার আগে তিনি ছেলের হত্যাকারীদের সাজা কার্যকর হয়েছে, এই কথাটা শুনতে।”

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটন, মনিরুজ্জামান স্বপনের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিমসহ সাত জন অপহৃত হন। অপহরণের তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল নজরুল ইসলামসহ ৬ জন ও ১ মে সিরাজুল ইসলাম লিটনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দরের শান্তির চর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

গত ১০ বছরে এ মামলার বিচারের দুটি ধাপ শেষ হয়েছে। হত্যাকান্ডের পর তিন বছরের মধ্যে দুটি ধাপে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে শেষ হয় বিচার। পরে সেই মামলার চূড়ান্ত বিচার সাত বছর ধরে আপিল বিভাগে ঝুলে আছে।

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//