Print Date & Time : 24 August 2025 Sunday 4:25 am

নেছারাবাদে আশ্রয়ন কেন্দ্র থেকে ৪০-৫০ পরিবারকে তাড়িয়ে দিলেন মৌলভী

নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি: নেছারাবাদে ডুবি আলিম মাদরাসায় ঘূর্নিঝড়ে ‘রেমাল’ আশ্রয় নেয়া ৪০ থেকে ৫০ টি পরিবারকে ঝড়ের পরের দিন মাদরাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সহকারি মৌলভী সাইদুর রহমান সাইদের বিরুদ্ধে।

তিনি বন্যার পরের দিন সকালে এসে আশ্রয়নবাসীদের সাথে র্দুব্যবহার করে তাড়িয়ে দেন। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্য ক্ষোভ বইছে। তারা মাওলানা সাইদুর রহমানের সঠিক বিচার দাবি তুলেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ডুবি আলিম মাদরাসায়।

আশ্রয়নবাসীদের অভিযোগ, ২৬ মে (রোববার) রাতে ঝোড়ো বাতাস সহ মুষলধারে বৃষ্টি আর বন্যার পানি বেড়ে যায়। এসময়, নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য রাতে স্থানীয় ৪০ থেকে ৫০ টি পরিবার ছুটে আসেন ডুবি আলিম মাদরাসায়।
সোমবার (২৭ মে) সকাল থেকে বিকেলের মধ্য গোটা উপজেলার নিম্ন অঞ্চল এলাকার শত শত বাড়ী ঘরে তিন থেকে চার ফুট পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। ঘরের উপরে গাছ পড়ে ধ্বংশ হয়ে পড়ে শতাধিক বাড়ী ঘর। মঙ্গলবার সকালে বন্যা থেমে পানি সরে গেলেও বন্যায় মাদরাসায় আশ্রয় নেয়া অনেকের বাড়ী ঘরে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। তারা রাত কাটাবার জন্য মাথা গোজার ঠাই না পেয়ে দুইটা দিন ওই আশ্রয়নে থাকতে চেয়েছিলেন। ২৮ মে সকালে মাদরাসার সহকারি মৌলভী মাওলানা সাইদুর রহমান সাইদ গালিগালাজ করে মাদরাসা থেকে আশ্রয়নবাসীদের তাড়িয়ে দেন।

ভুক্তভোগী বিধবা নারী নেহারুন(৫৫) অভিযোগ করেন, বন্যায় তিনি ডুবি মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। বন্যায় ঘরের উপরে গাছ পড়ে ঘর ধুমড়েমুচড়ে গিয়েছে। পানিতে ঘরের মাটির মেঝে(স্থানীয় ভাষায় পোতা) ধুয়ে গেছে। থাকার কোন জায়গা নেই। তাই আর একটা দিন তিনি ওই মাদরাসায় রাত যাপন করতে চেয়েছিলেন। মাদরাসার মাওলানা সাইদ গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দিয়েছেন।

ওই আশ্রয়নে আশ্রয় নেয়া মাহিনূর নামে অপর এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, বন্যায় আমাদের ঘর বাড়ী সব শেষ। ঘরে থাকার মত কোন জায়গা নেই। তাই মাওলানা সাইদের হাতে পায়ে ধরে মাদরাসায় দুইটা দিন থাকতে চেয়েছিলাম। তিনি আমাদের সাথে খুব বাজে ব্যবহার করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। এমনকি বন্যার রাতে আশ্রয়নের বাথরুমে তালা দিয়ে রেখেছেন। আমরা নিরুপায় হয়ে সেই তালা ভেঙ্গে বাথরুম ব্যবহার করায় আমাদের যা ইচ্ছে তা বলেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মাওলানা সাইদুর রহমান সাইদ বলেন, তার সমাধান চেয়ারম্যান করে দিয়েছেন। এখন আবার কি?

ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, ওই মৌলভী আশ্রয়নের লোকের সাথে নাকি বাজে ব্যবহার করেছেন। আমি মৌলভীকে বকে দিয়েছি।

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো: মনিরুজ্জামান জানান, আমি বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেব।

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//