Print Date & Time : 10 May 2025 Saturday 1:46 pm

নেছারাবাদে দুই নারীকে নির্যাতন: ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি: নেছারাবাদে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আকলিমা(৫০) ও তাসলিমা (৬০) নামে দুই নারীর হাত বেধে অমানুষিক নির্যাতন করাসহ শ্লীলতাহানীর অভিযোগে পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংদস্য অধ্যক্ষ শাহ আলমের ভাইজি জামাই মো: নজরুল সহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

গত ২২ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী দুই নারীর মধ্য আকলিমা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার বাকি তিন আসামীরা হলেন, প্রধান আসামী নজরুলের বোন মোসাৎ: বতুল, মোসাৎ ইসরাত জাহান এবং ভাগনি মিরা। মামলার পর থেকে আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশ বলছেন, নজরুলের সাথে এলাকায় অনেকের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।

মামলার এজাহার এবং এলাকাসূত্রে জানাগেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ডুবি ২নং ওয়ার্ডে নজরুল ভুক্তভোগীদের জমির গাছ কেটে নিচ্ছিল। খবর পেয়ে আকলিমা এবং তাসলিমা বাধা দিলে নজরুল তার দুই বোন এবং ভাগনিকে নিয়ে তাদের উপর প্রকাশ্য হামলা চালায়।
এসময় নজরুল আকলিমার দুই হাত বেধে গাছের সাথে বেধে মারতে থাকে। আকলিমার সাথে থাকা অপর বোন তাসলিমা এগিয়ে এলে তাকে নজরুল সহ মামলার বাকি তিন আসামিরা মারতে মারতে তার পরনের জামা খুলে ফেলে।

এসময় হাত বাধা অবস্থায় আকলিমা চিৎকার দিলে নজরুল তার বুকের উপর উঠে পা দিয়ে লাথি মারে। একপর্যায়ে নজরুল আকলিমার মাথার উপরে উঠে পা দিয়ে মাটিতে পিষে ধরে।

ভুক্তভোগী আকলিমা অভিযোগ, তাদের জমির রোপিত গাছ নজরুল কেটে নিচ্ছিল। এসময় তারা দুই বোন বাধা দেয়ায় তাদের অমানুষিকভাবে নির্যাতন করেছে।
আকলিমা অভিযোগে বলেন, নজরুল এবং তার দুই আমাকে এবং আমার বোনকো লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। নজরুল আমার বোনকে তাসলিমাকে মেরে পরনের ম্যাক্সি খুলে ফেলে। এক পর্যায়ে নজরুল আমার দুই হাত বেধে মাটিতে ফেলে আমার মাথার উপরে পা দিয়ে মাটিতে পিষে ধরে।

ভুক্তভোগী অপর নারী তাসলিমার অভিযোগ, নজরুল ও তার বোনেরা আমাদের নির্মমভাবে মেরেছে। মারধরের একপর্যায়ে মামলার আসামি মিরা আমাদের সাথে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। তারা আমার বাবার জমি দখল করে খেতে চাচ্ছে। নজরুল বিগত ষোল বছর যাবত এলাকায় বেশ কয়েকজনের জমি দখল নিয়ে এসব কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। সে পিরেজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যর আপন ভাইজি জামাই। তার প্রভাব দেখিয়ে যা ইচ্ছে তা করে বেড়াচ্ছে।

নেছারাবাদ থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রায়হান সোহেল জানান, আসামিদের কেহ এখনো গ্রেফতার হইনি। গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার পর থেকে তারা গাঢাকা দিয়েছেন।