জনাব এ কে এম ইকবাল একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ চাকুরীজীবনের প্রায় পুরোটা সময় চট্টগ্রামে অবস্থান করে অবসর জীবন যাপনের জন্য নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানাধীন ছয়ানি ইউনিয়নের পৈত্রিক ভিটায় ফিরে দেখেন তার প্রায় সমস্ত জমিজমা তারই আপন ভাই ছায়দুল হক ও তার ভাতিজা সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে নোয়াখালী জেলা মৎসজীবি দলের নেতা এ কে এম আনোয়ার হোসেন (সুমন) ও তার ভাই এ কে এম দেলোয়ার হোসেন (বিপ্লব) ভোগদখল করছে।
এমতাবস্থায় ৭৫ বছর বয়সী এ প্রৌঢ় কোনমতে একটি ছাপরা ঘর তুলে তাতে স্বস্ত্রীক থাকা শুরু করলে তার ভাই সায়দুল হক, ভাতিজা সুমন ও বিপ্লব নানাভাবে হুমকি ধামকি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।স্থানীয়ভাবে একাধিকবার আপোস নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হলেও সুমন ও বিপ্লবের উদ্ধত্যপূর্ণ, হিংস্র ও আক্রমণাত্মক আচরণের কারণে আপোষ নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি।
এক পর্যায়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ইং তারিখে বেগমগঞ্জ থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারন ডায়েরী করেন (GD No. # 147) । এর পর থেকে তাকে তার বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ এবং সমস্থ সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং বিগত ১০ জানুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে তার প্রায় ৫০ শতাংশ জমি দখল করে হালচাষ শুরু করে। তিনি বাধা দিতে গেলে হত্যার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
পরবর্তীতে তার অন্য অংশ জমির সাথেই গভীর গর্ত খনন শুরু করলে তিনি তাতেও বাধা দিলে একইভাবে হুমকি দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ফেব্রুয়ারী তার বসতভিটার সমস্ত নারিকেল সুপারি নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দিলে উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা হিংস্র হয়ে উঠে এবং তাদের সহযোগীরাসহ বৃদ্ধের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে ঝাপিয়ে পড়ে।
![](https://dailydeshtottoh.com/wp-content/uploads/2022/02/WhatsApp-Video-2022-02-10-at-2.32.24-AM-1.00_00_07_26.Still001.jpg)
একপর্যায়ে তিনি আত্মরক্ষাত্মে নিজ ঘরে ঢুকে গেলে তারা তাকে ঘর থেকে টেনে হেচড়ে বের করে নির্মমভাবে পেটাতে থাকে এবং দা নিয়ে জবাই করতে উদ্যত হয়। বর্তমানে মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে নোয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন এই অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তার পরিবারটি।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post