রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে এইচআইভি- এইডস সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ এপ্রিল সোমবার বেলা ১২ টায় পটুয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের (এএসপি) মহাখালী ঢাকা এর সহযোগিতায় সিভিল সার্জন এর আয়োজনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর ডাঃ জসিম উদ্দিন।
উক্ত কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডাঃ কবির হাসান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএম এর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শিদ্ধার্থ , পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার এএসপি ডাঃ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো মাহাবুবুল আলম ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ সোবহান , ডিবুয়াপুর মডেল বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো মিজানুর রহমান , সাংবাদিক আতিকুল আলম সোহেল প্রমুখ।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বাংলাদেশে এইচআইভি/এইডস পরিস্থিতি এবং চিকিৎসার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
এইডস বা এইচআইভি ‘মানব প্রতিরক্ষা অভাব সৃষ্টিকারী ভাইরাস’ নামক ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট একটি রোগ-লক্ষণসমষ্টি, যা মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বা প্রতিরক্ষা হ্রাস করে।
এইডস (অ্যাকুয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম) হলো এক ধরনের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ। এ রোগ এইচআইভি নামক ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। এইচআইভি এমন একটি ভাইরাস, যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়।
তাছাড়া এ ভাইরাসটি রক্তের সাদা কোষ নষ্ট করে দেয়, যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অকার্যকর হয়ে পড়ে। এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়া। তবে এইচআইভি ও এইডস কিন্তু একই নয়। এইচআইভি একটি ভাইরাস এবং এইডস একটি অসুস্থতা, যা এইচআইভির কারণে হয়।
এইচআইভি সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই সর্বদা এইডস হয় না। শুরুতে ক্ষেত্রবিশেষে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরনের উপসর্গ দেখা যেতে পারে। এরপর বহুদিন কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। এইচআইভি ভাইরাসের আক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেহের প্রতিরক্ষাতন্ত্র দুর্বল হতে থাকে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সাধারণ সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এমনকি টিউমার হতে পারে, যা কেবল সেসব লোকেরই হয় যাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ করে না। এইচআইভি সংক্রমণের এ পর্যায়টিকে এইডস বলা হয়।
এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই কোনো লক্ষণ ছাড়া এ রোগ বহন করে। তবে কখনো কখনো এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ পর কিছু কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন-জ্বর, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, মুখের অভ্যন্তরে ঘা, দীর্ঘমেয়াদি কাশি, স্বাস্থ্যের অবনতি, লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠা ইত্যাদি। এসব লক্ষণ কোনো চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়, যে কারণে রোগী এই ভাইরাস সম্পর্কে বুঝতে পারে না। এইচআইভি কোনোরকম লক্ষণ ছাড়াই সর্বোচ্চ ১০ বছর মানুষের শরীরে বাস করতে পারে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post