রাকিবুল ইসলাম তনু,পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীতে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শরীফ মো: সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা চেষ্টার অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলাম।
জামায়াত নেত্রীবৃন্দ অভিযোগ করেন , রাত ১০টার দিকে কাজীপাড়ায় অবস্থিত জেলা জামায়াতের অস্থায়ী কার্যালয়ের মধ্যে বসা ছিলেন কয়েকজন নেতাকর্মী।
এসময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শরিফ মো: সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান সুজন অ্যাডভোকেট মো: মিজান,অ্যাডভোকেট আরিফ হোসেন সহ ১০ থেকে ১৫ জন লোক মোটরসাইকেল করে আসেন।
এরপর জামায়াতের কার্যালয়ের নিচে দাড়িয়ে দরজা ধাক্কাতে থাকে এবং অকথ্যভাষার গালিগালাজ ও বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন। ভবনের ভিতরে অবস্থান করা জামায়াত কর্মীরা মোবাইল ফোনে নেতৃবৃন্দকে জানালে বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এগিয়ে আসতে থাকলে অভিযুক্তরা স্থান ত্যাগ করেন।
পরে রাত ১১ টার পরে কার্যালয়ে সামনে থেকে তাৎক্ষণিক একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। এসময় লাঠিসোঁটা,পাইপ হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে তিতাস মোড় হয়ে ঝাউতলা এলাকা প্রদক্ষিণ করে সোনালী ব্যাংক গোল চত্বর মোড়ে পৌছলে জেলা জামায়াতের আমির এ্যডভোকেট নাজমুল আহসান মিছিলকারীদের সেখানে থামিয়ে দেন । পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সোহাগ, পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল বাশার, ছাত্র শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাশার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি সাইদুর রহমান খান পাবেল।
এব্যাপারে জেলা জামায়াতের আমীর এডভোকেট নাজমুল আহসান বলেন, হঠাৎ করেই আমার কাছে ফোন আসে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে সামনে গিয়ে এডভোকেট শরিফ সালাউদ্দিন সহ কয়েকজন লোক গালিগালাজ করছেন এবং হামলার হুমকি দিচ্ছেন। পরে আমাদের নেতাকর্মীরা ছুটে গেলে পালিয়ে যায় তারা। এরপর আমাদের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আইনজীবী সমিতির দিকে এগুলো আমি সোনালী ব্যাংকের মোড়ে তাদেরকে থামিয়ে নিয়ে আসি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শরিফ মো: সালাউদ্দিন জানান, আমরা আইনজীবী সমিতির আসন্ন নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে কাজী পাড়া হয়ে মটর সাইকেলে ফিরছিলাম। জামায়াত কার্যালয়ে হামলা করতে যাব কেন? প্রশ্নই আসেনা হামলা চেষ্টার।জামাত কার্যালয়ের নীচে দরজায় ধাক্কা দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকর করে তিনি বলেন “রাস্তায় সিসিটিভি লাগানো রয়েছে ,আমরা অফিসের নীচে দরজায় ধাক্কা দিলে বা দাড়িয়ে গালিগালাজ করলে তো তার ফুটেজ থাকবে ।আপনারা ফুটেজ চান তাদের কাছে,তারা প্রমান করুক।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের উপর হামলা করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহে বাঁধা দেন বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা। পরে এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে জামায়াতের ল’ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ১১ জনকে আসামী করে সদর থানায় মামলা করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে আবার জেলা জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারী সহ ১১ জনকে আসামী করে পাল্টা মামলা দায়ের করেন বিএনপি পন্থী আইনজীবী ফোরাম।