রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর পৌর শহরের তিতাস সিনেমা হল থেকে সবুজবাগ মোড় পর্যন্ত এই সড়কের গড়ে উঠেছে অসংখ্য ক্লিনিক, ডায়গনাস্টিক সেন্টার। এসব ক্লিনিক, ডায়গনাস্টিক সেন্টারের অধিকাংশেরই নেই পার্কিং ব্যবস্থা। যাদের আছে সেগুলোও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে পুরো সড়কজুড়ে দিনভর লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট।
এছাড়া এই সড়কের উপর যত্রতত্র অটোরিকশা পার্কিং করে রাখার কারণেও সৃষ্টি হয় যানজটের। ক্লিনিক আর বিকাল হলে যানজটের পরিমাণ তীব্র আকার ধারণ করে। এসময় প্রাইভেট ক্লিনিক আর ডায়গনাস্টেক সেন্টারগুলোতে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেন চিকিৎসকরা। ফলে বাড়ে রোগী আর গাড়ির সংখ্যা,বাড়ে যানজট।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, সব সময়ই এই সড়কে কিছুটা যানজট থাকে। তবে বিকাল হলে যানজট অনেক বেশি হয়। কোন কোন সময় যানজটের পরিমাণ এতো বেশি হয় যে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে যায়।
একজন পথচারী জানান, এই রাস্তাটা একদম ছোট এখানে গাড়ি পার্কিং এর কারনে অনেক ঝামেলা হয় এখানে রাস্তায় বসে কলার ভ্যান ফলের ভ্যান বসে এখানে থাকে রাস্তায় দুইপাশে অনেক গাড়ি এবং এখানে থাকে এম্বুলেন্স, ডাক্তারের প্রাইভেট কার, এবং ছোট বড় অটোরিকশা যে কারনে আরেকটা রিক্সা বাইক অটো যাওয়ার জায়গায় থাকে না এই কারনে এই অল্প সময়ের রাস্তায় পার হতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয় পটুয়াখালীর প্রশাসন এবং পৌরসভা মেয়রের কাছে দাবী জানাচ্ছি এই ভোগান্তি থেকে যেভাবে হোক আমাদের রক্ষা হয় ।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহাম্মেদ জানান, পটুয়াখালীতে দুইটি রাস্তা খুবই ব্যাস্ততম সড়ক একটি হলো জুবলী স্কুল সড়ক আরেকটি তিতাস সিনেমা হল থেকে সবুজবাগ পর্যন্ত তাই আমাদের আরো বেশি চলাচলের সড়ক তৈরি করতে হবে এবং এই সড়কে প্রচুর পরিমান অটো, এম্বুলেন্স, ভ্যান সব দাড়িয়ে থাকে ক্লিনিকের লোকজন যায় এই জন্য । এইটা আইনের আওতায় আনতে হবে তার পাশাপাশি এই সড়ক দু’টিকে আপাতত অন ওয়ে করে দিতে পারি কিছুদিনের মধ্যে, যেহেতু আমাদের এখন গাড়িগুলো সবই যান্ত্রিক সেখানে আমাদের ১ কিলোমিটার বেশি যাওয়া ততোটা কষ্টকর না সুষ্ঠ নিয়ম নীতি মেনে চলা দরকার, এখনো অনওয়ে করার সময় আসে নাই আরেকটু বেশি যানযট হলে তখন অনওয়ে করে দিবো।আমি চেষ্টা করবো যতটুকু ড্রেন বা ফুটপাত দিয়ে সাজাতে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post