রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর আঞ্চলিক পাসেপোর্ট অফিসে ঘুষ ও দালাল ধরা ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট। এতে করে বিদেশ ফেরত প্রবাসীরা, ও নতুন পাসপোর্ট করার জন্য আসা মানুষরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দালাল ধরে চাহিদা মতো টাকা দিলেই সময়মতো মিলছে পাসপোর্ট। এছাড়া সাধারণ সেবা প্রত্যাশীরা আবেদন করেও সময়মতো পাচ্ছেন না পাসপোর্ট।
রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর আঞ্চলিক পাসেপোর্ট অফিসে ঘুষ ও দালাল ধরা ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট। এতে করে বিদেশ ফেরত প্রবাসীরা, ও নতুন পাসপোর্ট করার জন্য আসা মানুষরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দালাল ধরে চাহিদা মতো টাকা দিলেই সময়মতো মিলছে পাসপোর্ট। এছাড়া সাধারণ সেবা প্রত্যাশীরা আবেদন করেও সময়মতো পাচ্ছেন না পাসপোর্ট।
সরেজমিনে দেখা যায় পটুয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসা ভুক্তভোগীরা লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম জমা দিলে দেখানো হচ্ছে নানা ভুল, এবং সেখান থেকে বেড়িয়ে আসার আগেই ভিতরে প্রবেশ করে পাশে দাড়িয়ে থাকে দালাল চক্র, এবং সাথে সাথেই দালালরা জিজ্ঞেস করে ভাই কি সমস্যা পাসপোর্টের আমাকে বলেন আমি সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছি, বলে নিয়ে যাচ্ছেন আশে পাশে চিপায় চাপায় নিয়ে বলা হচ্ছে ভাই সব কিছু আমি দেখবো কোনো সমস্যা হবে না আমি সব করে দিবো আমাকে টাকা দেন সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে, টাকা নেওয়া পর বলছেন স্যারদের দিতে হয় এই টাকা অফিসের সকলেই ভাগ করে নেয় আমি তেমন পাই না। এমন চিত্র ধারণ করা ভিডিও রয়েছে ।
ভুক্তভোগী সাইদুর রহমান কাওসার জানান, আমি আমার নিজের পাসপোর্ট করতে পাসপোর্ট অফিসে যাই সেখানে গিয়ে সব কিছু নিয়ম মোতাবেক করি সেখানে দেওয়া ছিলো পিতার পেশা কি? আমার বাবা কিছুই না করায় তাই আমি ফাকা রাখি জায়গাটা আজ সকালে আমি যখন পাসপোর্ট অফিসে যাই সাথে সাথে আমাকে এই ভুল দেখিয়ে বলে সমস্যা আছে হবে না আমি লাইনে থাকা অবস্থায় আমার পাশে দাড়িয়ে থাকা এক ভদ্রলোক আমাকে ইশারায় ডাকেন এবং বলেন ভাই কি সমস্যা আমি দেখতেছি আসেন বলেই বলে সব সমস্যা সমাধান করে দিচ্ছি ২ হাজার টাকা দেন আমাকে আমি সব করে দিচ্ছি ঠিকি আমি দেড় হাজার টাকা দেওয়ার সাথে সাথে কর্মকর্তাদের কাছে গেলে তারা আমার ফিঙ্গার ও ছবি তুলে নেন, এবং কিছু টাকা কম দেওয়ায় ওই ব্যাক্তি আমাকে বলেন আমার এক টাকাও রইলো না সব স্যারদের দিয়ে দিতে হবে এই টাকা অফিসের সকলেই ভাগ করে নেয়৷
আরেক ভুক্তভোগী জামাল আকন জানান, আমি গেট থেকে ডুকতেই জিজ্ঞেস করে পাসপোর্ট করবেন আমি বলি হ্যাঁ খলিল নামে এক লোক জানান আমাকে দেন আমি সব করে দিচ্ছি সমস্যা হবে না কোনো সব গুছিয়ে দেওয়ার পর তিনি বলে তিন হাজার টাকা দেন স্যারদের দিতে হবে বলার পরে আমি আমার কাগজপত্র নিয়ে নিজেই যাই সেখানে এবং সেখানে যাওয়ার পরে আমার অনেক সমস্যা দেখানো হয় আমি যেই দালালের স্মরনাপন্ন হই ঠিক দলাল আমার সব কাজ করে দেয়।
ভুক্তভোগী শাওন আমিন জানান,আমি আসছি আমার পাসপোর্টের নামের ভুল আর জন্মতারিখটি ভুল ছিলো দালাল এসে বলে আমি সব করে দিচ্ছি নিয়ম অনিয়ম তো আমরা তৈরি করি দেন ২৫০০ টাকায় করে দিচ্ছি আমি টাকা কম দিতে রাজী হইলে তিনি বলেন অফিসের কর্মকর্তাদের দিতে হয় সব টাকা আমাদের তেমন থাকে না এই বলার সাথে সাথে আমি তার কাছে থেকে সরে আসি।
দালাল খলিল উদ্দিন জানান, আমি কিছু জানি না এমন ক্ষতি করবেন না, আমার রিপোর্ট করবেন না আমি আপনার সাথে দেখা করবো বলে ফোন কেটে দেন, আবার চেষ্টা করলে অনেকবার ফোন রিসিভ করেন না পরে একবার রিসিভ করে বলেন ভাই আপনার সাথে যোগাযোগ করবো বলে ফোন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে আঞ্চলিক পাসপোর্ট কর্মকর্তা জানান, যদি এই সব দালালের সাথে আমার অফিসের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী জড়িত থাকে তাহলে আমি তাদের ব্যাবস্থা নিবো।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post