Print Date & Time : 14 September 2025 Sunday 12:08 pm

পবিপ্রবিতে দুর্ঘটনা: দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার

রাকিবুল ইসলাম তনু , পটুয়াখালীঃ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) বৈদ্যুতিক লাইনে স্পৃষ্ট হয়ে দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন ও আহত হয়েছেন আরও ৩ জন শ্রমিক।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক মসজিদের পাশে নির্মিত ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচারাল ভবনের ছাদে এই দূর্ঘটনা ঘটে।

আহত শ্রমিকদের উদ্ধার ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সহায়তায় প্রদান করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, শাখার নেতা-কর্মীরা।

বর্তমানে আহত ৩ শ্রমিক ঢাকায় চিকিৎসারত আছেন৷

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৌশলে দায় এড়িয়ে পাশ কাঁটিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার মোঃ কামরুজ্জামান সোহাগ।

আহত শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জামান বিল্ডার্সের ঠিকাদার মোঃ কামরুজ্জামান সোহাগ এখন পর্যন্ত আহত তিন শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য মোট ৪৫ হাজার টাকা দিয়েছে। যার মধ্যে ৩৩ হাজার টাকাই দিতে হয়েছে এ্যাম্বুলেন্সের ভারা। এছাড়া কোন সহযোগিতা আমরা ঠিকাদারের কাছ থেকে এখন অব্দি পায়নি।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার সোহাগ বলেন,
আমি এখন পর্যন্ত চিকিৎসা বাবদ দেড়-দুই লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি। মৃত শফিকুর রহমানের পরিবারের সঙ্গে আজ বিকালে বসবো, তাদের যেভাবে সহযোগিতা করা যায় তার যথাযথ ব্যবস্থা করবো।

এ বিষয়ে পবিপ্রবি’র উন্নয়ন প্রকল্পের প্লানিং বিভাগের উপ-পরিচালক কে এম মেহেদি হাসান মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তবে ভিসি স্যার একটি তদন্ত কমিটি করেছে এবং এই প্রকল্পের বিষয়ে সকল দায়িত্ব আলমগীর হোসেন কবির স্যারের,তিনি এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে পবিপ্রবি’র উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক মোঃ আলমগীর হোসেন কবিরের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,গতকাল রবিবার ছাদ ঢালাই দেয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে রাতেই রড দিয়ে ছাঁদের কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। নিচ থেকে ছাদে রড উঠানোর সময় রডের সাথে বৈদ্যুতিক মেইন লাইনের সংযোগ হয়ে ছিটকে পড়ে ইমরান হোসেন(২৫), মোঃ মনির(২৭),শফিকুর রহমান (৩৮) সহ চার জন। তারা মারাত্মক স্পৃষ্ট হয়। এতে শ্রমিকদের প্রায় ৭০% শরীর পুড়ে দগ্ধ হয়। আহত শ্রমিকদের মধ্যে শফিকুর রহমানকে গুরুতর আবস্থায় বরিশাল নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের আরো বেশি সচেতন হওয়া দরকার ছিলো। এ ধরণের ঘটনা কোন ভাবেই কাম্য নয়।”

দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//