দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন মো.নাসিম উদ্দিন নামে এক উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের মাঠ সহকারী।পরে গ্রামবাসী তাকে গণপিটুনি দেয়।
এ ঘটনার ১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চরসাদিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলাব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।গণপিটুনির শিকার নাসিম রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।নাসিম দৌলতপুর প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে এলডিডিপি প্রকল্পে মাঠ সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়,একটি টিনশেড ঘরের মধ্যে চৌকির উপর বসিয়ে রাখা নাসিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয় গ্রামবাসী জানান,নাসিমের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তারপরেও প্রাণিসম্পদ অফিসে চাকরির সুবাদে বাহিরমাদি মুরগি পিজির এক নারী সদস্যদের সঙ্গে পরকীয়া করেন তিনি।
মাঝেমধ্যেই ওই নারীর বাড়িতে এসে দেখা করতেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার রাতে ওই নারীর সঙ্গে ফের দেখা করতে এলে স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলেন। পরে তাকে গণধোলাই দেন। ওই নারীর স্বামী এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে এসব ঘটনা ষড়যন্ত্র ও সাজানো বলে দাবি করেন মোঃ নাসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন,আমার বাড়ি রাজশাহী জেলায় চাকরির সুবাদে দৌলতপুরে থাকা হয়।এখানে থাকা খাওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যা আমাকে ফেস করা লাগে। ওই মহিলা আমাদের আত্মীয় হওয়ায় তাদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতাম এমনকি মাঝে মধ্যে থাকাও লাগতো।
স্থানীয় বিরোধের জেরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার সঙ্গে এই আচরণ করা হয়েছে।ভিডিওগুলো সাজানো বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডাঃ মোঃ আব্দুলাহ হিল কাফী বলেন,আমি দৌলতপুরে অতিরিক্ত দায়িত্বে,বর্তমানে মিরপুরে আছি।এখানে অনেক কাজের চাপ থাকাই দৌলতপুরে গত দুই সপ্তাহ যেতে পারিনি।ঐ ভাইরাল ভিডিও’র কিছু অংশ আমি দেখেছি তবে ঘটনার বিস্তারিত আমার জানা নেই।

Discussion about this post