গোফরান পলাশ, কলাপাড়া: ঈদ-উল-ফিতরের সরকারী ছুটিতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিমে লেম্বুর বন এবং পূর্বে গঙ্গামতি সমু্দ্র সৈকত জুড়ে পর্যটকদের পদচারণা।
ঈদের দ্বিতীয় দিনে দেশী বিদেশী লাখো পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত। আগত পর্যটকরা সমুদ্রে ডুব সাঁতারে মাতোয়ারা। কেউ কেউ বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড় করছেন। অনেকে আবার ঘোড়া, ওয়াটার বাইক কিংবা মোটর বাইকে চড়ে সৈকতের বিভিন্ন পর্যটন স্পট পর ঘুরে দেখছেন। সৈকতের বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের গর্জন শুনছেন কেউ। আগত পর্যটকদের ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে সৈকতের দোকানীদের।
আগামী এক সপ্তাহ বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।
সৈকতের ছাতা বেঞ্চ ব্যবসায়ী নাসির খলিফা জানান, কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। আগামীকাল পর্যটককের আগমন আরও বাড়বে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক নীলা আহমেদ জানান, আজকে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। আমরা বুকিং করে না এসে বিপদে পড়ে গেছি। হোটেলে রুম পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনারস এসোসিয়েশনের সাধারণত সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ জানান, প্রায় হোটেলের আশি পার্সেন্ট রুম বুক হয়ে গেছ। এখনও পর্যটকরা ফোনে রুম বুকিং দিচ্ছেন।
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, আমাদের পুলিশ সাদা পোশাকে সার্বক্ষণিক ডিউটিতে আছে।
পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পর্যটকদের সেবায় আমরা প্রস্তুত আছি। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটক বেড়েছে। ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা ফোর লেন মহাসড়ক বাস্তবায়িত হলে আরও পর্যটক বাড়বে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আজকে কুয়াকাটা পর্যটকে মুখর । কাল-পরশু কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামবে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলাপাড়া থানা, মহিপুর থানা, কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস, মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য //১২ এপ্রিল ২০২৪//
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post