শেখ নাদীর শাহ্, পাইকগাছা(খুলনা):
পাইকগাছার কপিলমুনিতে জীবিত পিতাকে মৃত দেখিয়ে ওয়ারেশকায়েম প্রদান, পিতার ১৩ লক্ষ টাকার জমি বিক্রি করলেন ছেলে সুমন মন্ডল। ঘটনাটি ঘটেছে কপিলমুনির পূর্ব কাশিমনগর গ্রামে।
অভিযোগে জানাযায়, উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামের রঘুদেব মন্ডল মৃত্যুকালে এক পুত্র শংকর মন্ডল, এক স্ত্রী সাবিত্রী ও এক কন্যা তাবল মন্ডলকে রেখে যান। পরবর্তীতে স্ত্রী সাবিত্রী মন্ডলের মৃত্যু হয়। এরপর একমাত্র ছেলে শংকর গত কয়েক বছর আগে এলাকায় সিরিজ যৌন কেলেংকারীতে জড়িয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভারতে চলে যায়। এর কয়েক বছর পর এক ছেলে সুমন মন্ডল বাড়িতে ফিরে স্বাভাবিক জীবন-যাপনের একপর্যায়ে জন্মদাতা পিতাকে মৃত দেখিয়ে স্থানীয় ইউপি থেকে একটি ওয়ারেশ কায়েম নেন। যার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে তিনি পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির একাংশ বিক্রি করে দিয়েছেন।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তার শরিকগণ বিষয়টি পরিষদকে অবগত ও শঙ্করতে জীবিত দেখিয়ে একটি ওয়ারেশ কায়েম পত্রের আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ তা না দিয়ে নিজেদের বাচানোর চেষ্টায় বিভিন্ন মহলে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন। এমনকি এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন বলে জানানো হয়।
ওয়ারেশকায়েম পত্রে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ (দায়িত্বপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান হিসেবে মোহাম্মদ ইউনুস আলীর স্বাক্ষরযুক্ত ও সুপারিশকারী হিসেবে ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মো: রফিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ থাকলেও তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই জানিনা।’
ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন। যদিও তিনি আবেদনের কোন কপি সরবরাহ করতে পারেননি।

Discussion about this post