শেখ নাদীর শাহ্,পাইকগাছা(খুলনা): খুলনায় আবাসিক হোটেলে নারীকে নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্তাবস্থায় ওই নারী শহিদুল ইসলাম গাইন (৪০) নামে এক যুবকের লিঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) পাইকগাছার মহানগরীর ফেরিঘাট মোড়ের মৌসুমি আবাসিক হোটেলে ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় শহিদুল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানাযায়, গত ১৭ জানুয়ারী রাতে পাইকগাছার কমলাপুর গ্রামের আজিবর গাইনের ছেলে শহিদুল ইসলাম জনৈকা আয়শা (৩৫) নামে এক নারীকে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে খুলনার রুপসা ফেরীঘাট মোড়ের মৌসুমী আবাসিক হোটেলে ওঠে রাত্রি যাপনের জন্য। এরপর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে হোটেলের চতুর্থ তলার দুই নম্বর কক্ষে রাত্রিযাপনকালীণ আশা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শহিদুলের লিঙ্গ কর্তন করে।
এব্যাপারে মৌসুমী আবাসিক হোটেলের মালিক লাল মিয়া বলেন, শহিদুল ও আয়শা নামের দুইজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রুম ভাড়া নেন। তবে রাতে তার ভাগ্নে কাইয়ুম হোটেলে ছিলেন।
ভাগ্নে তাকে জানায়, রাত আড়াইটার দিকে শহিদুল ও আয়শা নামের ওই নারী একসঙ্গে রুম থেকে বেরিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। তবে হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় শহিদুলের পায়জামা রক্তাক্ত দেখে ভাগ্নে তার কারণ জানতে চাইলে ওই নারী শহিদুলের পাইলস্ আছে দাবি করে এখনই তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার কথা জানিয়ে তারা বের হয়ে যায়। পরে রাত সোয়া তিনটার দিকে শহিদুলকে খুমেক হাসপাতালের ৯-১০ নম্বর ওয়ার্ডে (সার্জারি বিভাগ) ভর্তি করা হয়েছে।
সর্বশেষ স্ত্রী পরিচয়ে শহিদুলের সঙ্গে হোটেলে রাত্রি যাপনকারী আয়শা নামের ওই মহিলার কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও হোটেলের খাতায় ওই মহিলার নাম আয়শা থাকলেও শহিদুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তার নাম মরিয়ম বলেছেন।
খুলনা থানার ওসি ওসি শেখ মুনীর-উল-গিয়াস বলেন, ঘটনাটি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। এখনও এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ না করলেও পুলিশি তদন্ত চলছে।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post