Print Date & Time : 4 July 2025 Friday 8:08 pm

পাইকগাছায় শিশু সহ মা’কে মারধরের অভিযোগ

শেখ দীন মাহমুদ,পাইকগাছা(খুলনা) ॥ পাইকগাছায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশী কতৃক ৭ বছরের স্কুল পড়–য়া শিশু পুত্রসহ মাকে মারপিটের অভিযোগ। আহত ২য় শ্রেণীতে পড়–য়া শিশু পুত্রসহ মা’কে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া মিনাজচক গ্রামের সরদার বাড়ীর পারিবারিক মন্দিরের জায়গায় বিগত ২০ থেকে ২৫ দিন আগে কনিকা রানি ৪টি চারা গাছ রোপন করেন। এরপর ঘটনার দিন গত বৃহষ্পতিবার (০৭ অক্টোবর) সকালে খড়িয়া মিনাজচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাদেব চন্দ্র সরদার (৫৮) সহ তার দু’পুত্র ও তাদের পুত্রবধুরা সকালে কনিকা রানির লাগানো গাছ ভেঙ্গে দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে।

এসময় কনিকা রানি ঘর থেকে বেরিয়ে মন্দিরের জায়গায় লাগানো গাছ ভাঙা ও তাকে গালি গালাজের কারণ জানতে চাইলে মহাদেব গংরা কনিকা রানি কে চড় থাপ্পড় দিতে থাকে। এসময় তার ডাক চিৎকারে বাড়িতে থাকা ৭ বছরের দ্বিতীয় শ্রেনিতে পড়ুয়া শিশুপুত্র তার মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে এসময় তাকেও মারধর করে।

ঘটনার সময় রানির স্বামী দেব্রোত সরদার গড়ইখালী বাজার থেকে প্রতিবেশিদের ফোন কলে ঘটনার খবর পেয়ে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে শিক্ষক মহাদেব চন্দ্র সরদারের সাথে দেখা হয়। এসময় শিক্ষকের কাছে মারধরের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি তার উপর চড়াও হলে দু’জনের মধ্য কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।

এ ব্যাপারে আহত কনিকার স্বামী দেব্রোত সরদার বলেন, ওনার আর আমার মাঝে এমন কোনো মারা মারি হয়নি যে উনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। খড়িয়া মিনাজচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অর্থাৎ শিক্ষক যে স্কুলে চাকরি করেন ঐ স্কুলের আমি একজন জমিদাতা সদস্য। সে হিসেবে কমিটির মাধ্যমে কয়েকবার স্কুলের নামে জমির হারির টাকা সহ অন্যানো হিসেবের কথা বলেছি। কিন্তু তিনি আজ ও পর্যন্ত কোনো হিসাবে বসেনি বরং উনি সেখান থেকে আমার উপর রেগে আছেন তার সুত্র ধরে ওনারা ইচ্ছা করে গায়েপড়ে ঝগড়া করেছে। আর আমার স্ত্রী তো ওনাদের জমিতে গাছ লাগাননি। গাছ লাগিয়েছে মন্দিরের জমিতে। তাও আবার গাছ লাগানোর ২০/২৫ দিন পর তা ভেঙেদিয়ে আমি সহ আমার স্ত্রী,পুত্রকে মারধর করেছে

এ ঘটনায় স্কুলের সভাপতি মোঃ আছাবুর রহমান বলেন, মারা-মারির ঘটনা বৃহস্পতিবার সকালে ঘটলেও আমি শুনেছি শুক্রবার রাতে। তবে এমন ঘটনা কেন ঘটেছে সেব্যাপারে আমি তেমন কিছুই জনিনা। স্কুলের জমির হারির টাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানের জমি দাতা সদস্য দেব্রত সহ আমরা ম্যানিজিং কমিটির পক্ষ থেকে কয়েকবার হিসাবের জন্য প্রধান শিক্ষককে বলেছি। তবে তিনি এ সব বিষয় নিয়ে বসতে চান না।

মারামির সময় উপস্থিত প্রত্যাক্ষদর্শী রাম কৃষ্ণ সরদার বলেন, মন্দিরের জায়গায় লাগানো চারাগাছ ভেঙে মারা-মারি করা একজন শিক্ষক হিসেবে হলেও তার মোটেও ঠিক হয়নি বিশেষ করে তাদের ৭ বছরের শিশু পুত্রের গায়ে হাত দেওয়া তাদের কোন ভাবেই উচিৎ হয়নি বলে আমার মনে হয়। এমনকি ঘটনার সময় ঐ শিশুকে ধরে উঁচু করে ছুড়ে ফেলা কতটা অমানবিক কাজ সেটা বলার উপেক্ষা রাখে না।

স্থানীয় সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য দীলিপ কুমার মন্ডল বলেন, মারামারির ঘটনা আমি লোক মুখে শুনেছি তারা উভয় পক্ষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলেও জানান তিনি।