মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের গাংনীতে যুবদল নেতা আলমগীর হোসেন হত্যাকান্ড কোন পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে নয় বরং যুবদলের দলীয় কন্দলনের কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার দুপুরে মেহেরপুর পুলিম সুপারের কনফারেন্সরুমে প্রেসব্রিফিং এমনটা দাবি করেছেন মেহেরপুর পুলিশ সুপার।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার খানম বলেন, মেহেরপুর ডিবি ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় যুবদল নেতা আলমগীর হোসেন হত্যাকান্ডের সাথে জড়ি থাকায় ৬ জন কে গ্রেফতার করেছে। আটক ছয় জন হলো রবিউল ইসলাম বিপ্øব, জনি ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম শফি, আলমগীর হোসেন ও মফিকুল ইসলাম। আটক কৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন নিহত আলমগীর হোসেন ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিলেন, রাজনৈতিক কারনে দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলো। গত ৫ই আগস্টের পরে সে দেশে ফিরে। সে দেশে ফেরার আগে মাফিকুল ইসলাম মাফি সভাপতির দায়িত্ব পালন করতো।
তিনি আরো বলেন, আলমগীরের দেশে ফিরে রাজনিতীতে সক্রিয় হওয়ায় মাফিকুল ইসলাম মাফি রাজনীতিতে কোন ঠাসা হয়ে পরেও অবস্থান নরবরে হয়ে পরে। রবিউল ইসলাম ইসলাম বিপ্লব আগামীতে গাংনী পৌর যুবদলের সম্পাদক হবার প্রচেষ্টা করে আসছিলো। একারণে ১ নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতির সমর্থন প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু আলমগীর বিপ্লবকে সমর্থ না দিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। আলমগীরের জনপ্রিয়তার কারণে তাকে সভাপতি পদ থেকে সরানোও সম্ভব হচ্ছিলোনা। এ কারণে পথের কাটা আলমগীরকে সরিয়ে যেকোন মূল্যে মাফিকে সভাপতির চেয়ারে বসানোর পরিকল্পনা করে।

Discussion about this post