নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের গার্ড রুমের সামনে মনিরুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেন কাওসার আলী নামে অপর এক সহকর্মী পুলিশ সদস্য। ওই ঘটনায় জড়িত কাওসার আলীর বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী দাড়ের পাড়া গ্রামে। কাওসার স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর মাষ্টারের ছোট ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, কাওসার ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। চাকুরি জীবনের বছর পাঁচেক কাটিয়ে ২০১০ সালের দিকে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে সরকারী ভাবে কয়েক বার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। চাকুরি করা অবস্থায় বেশ কয়েকবার অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা করানো হয়। তবে পারিবারিকভাবে কোন সমস্যা ছিলনা বলেও জানান পরিবাবের সদস্যরা।
পুলিশ সদস্য কাউসার মাদকাসক্ত ছিলো কিনা সেবিষয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী বলেন, সে মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিল, তবে মাদকাসক্ত ছিলনা। সে মাঝে মাঝেই মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তো। কাওসারের স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন সাথী’র দাবি, গত ৪-৫ দিন ধরে পরিবারের সাথে কম কথা বলেছেন। সে যখনই মাঝে মধ্যেই এমন মানসিক রোগে আক্রান্ত হতো। মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়তো, তাকে কয়েকবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়েও চিকিৎসা করানো হয়েছে। চিকিৎসার কাগজপত্র আমার স্বামীর কাছে আছে। আমাদের পারিবারিকভাবে কোন সমস্যা ছিলো না। তবে সে মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে পরিবারের সাথে কম যোগাযোগ করতো এবং কথাও কম বলতো’।
কাওসারের বিষয়ে জানতে চাইলে তার মা মাবিয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলে এমনিতে খুব ভাল। তার মাথার সমস্যা আছে। সে চাকুরিতে যোগদানের পরে অসুস্থ হয়। তার সাথে আমার গতকাল (শনিবার) রাত ৮টায় সময় শেষ কথা হয়েছে। আমার সাথে ভালো ভাবেই সে কথা বলেছে। মা কেমন আছো, আব্বা কেমন আছে বলে জিজ্ঞেস করেছে আমাকে। তবে কয়েকদিন ধবে বাড়িতে একটু কম কথা বলতো আমার ছেলে কাওসার।
এবিষয়ে কাওসারের স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন সাথী বলেন, আমার স্বামী এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কাওসারের প্রতিবেশী দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, কাওসার চাকুরিতে যোগদানের ৫ বছর পর থেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসা করানোর পর সে সুস্থ হলে আবার চাকুরিতে যোগদান করে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ডিউটি করা অবস্থায় কাওসার আলী তার সহকর্মী মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করে। এঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১০ জুন২০২৪

Discussion about this post